ভক্তির সঙ্গেও সরস্বতী পুজোর সঙ্গে জুড়ে থাকে শিক্ষানবিশদের মনের আনন্দ। সরস্বতী দেবীর পুজো ভক্তিভরে পালন করলে সারা বছর ধরে দেবীর আশীর্বাদ বর্ষিত হয় বলে বিশ্বাস করা হয়ে থাকে। কিন্তু, কতগুলি মারাত্মক ভুলের কারণে রুষ্ট হতে পারেন দেবী।
বসন্ত পঞ্চমী উত্সব হিন্দু ধর্মে বেশ ভক্তিভরে পালন করা হয়। ভক্তির সঙ্গেও সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja 2024) সঙ্গে জুড়ে থাকে শিক্ষানবিশদের মনের আনন্দ। সরস্বতী দেবীর পুজো ভক্তিভরে পালন করলে সারা বছর ধরে দেবীর আশীর্বাদ বর্ষিত হয় বলে বিশ্বাস করা হয়ে থাকে। জীবনের অন্ধাকর কেটে গিয়ে সাফল্যের শিখরে থাকবেন ভক্তরা। সারা বছর পড়াশোনায় উন্নতি, কেরিয়ারে সাফল্য ও শিল্পসত্ত্বায় সফলতা পাওয়ার জন্য সরস্বতী পুজোর দিন বাগদেবীর বন্দনা করা হয়। এদিন সকাল থেকে উপবাস রাখার চেষ্টা করেন ভক্তরা। পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার আগে পর্যন্ত অনেকে জল স্পর্শ করেন না। কিন্তু, কতগুলি মারাত্মক ভুলের কারণে রুষ্ট হতে পারেন দেবী। তাই, তাঁকে তুষ্ট রাখার জন্য মাথায় রাখুন এই বিশেষ নিয়মগুলি –
যারা বসন্ত পঞ্চমীতে উপোস করে থাকেন, তাঁরা পুষ্পাঞ্জলির আগে পর্যন্ত কিছুই খাবেন না। পুজো শেষ হওয়ার পর আগে প্রসাদ খেয়ে তারপর খাবার খাওয়া উচিত।
বসন্ত পঞ্চমীতে সারাদিন উপবাস করে থাকার পর সন্ধেবেলা পুজো করে ভঙ্গ করা যায়। মনে রাখবেন যে, উপবাস ভাঙার আগে এইদিন অবশ্যই কুল খাওয়া যেতে পারে। কারণ এই ফল হল সরস্বতীর প্রিয় একটি ফল।
দেবী সরস্বতীর প্রসাদ বা ভোগ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করতে ভুলবেন না।
সরস্বতী পুজোর দিন দেবীকে অবশ্যই হলুদ চাল নিবেদন করুন। তারপর সেই হলুদ চাল বা পোলাও ভোগ হিসেবে গ্রহণ করুন।
বসন্ত পঞ্চমীর দিনে ভুল করেও তামসিক জিনিস খাওয়া উচিত নয়, যারা তা মানেন না তাদের ওপর সরস্বতী ক্রুদ্ধ হন।
বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে, পেঁয়াজ ও রসুন ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এগুলিও তামসিকখাবারের অন্তর্ভুক্ত। বসন্ত পঞ্চমীর দিন শুধুমাত্র সাত্ত্বিক খাবার খাওয়া উচিত।