জন্মকুণ্ডলীতে শুক্র শুভ থাকলে সেই ব্যক্তি অগাধ সম্পদের মালিক হন। বিলাসবহুল জীবন যাপন করে।শুক্র নেতিবাচক হওয়ায় একজন ব্যক্তিকে অভাবের জীবন দেয়। এই ধরনের লোকেরা জীবনে অনেক আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়।
জ্যোতিষ শাস্ত্রে শুক্র গ্রহকে সম্পদ, বিলাসিতা, প্রেম এবং সৌন্দর্যের কারক হিসাবে মনে করা হয়েছে। জন্মকুণ্ডলীতে শুক্র শুভ থাকলে সেই ব্যক্তি অগাধ সম্পদের মালিক হন। বিলাসবহুল জীবন যাপন করে। তাদের জীবনে অনেক ভালোবাসা আসে। তার ব্যক্তিত্বে রয়েছে আশ্চর্য আকর্ষণ। সঙ্গীর প্রতি এমন ব্যক্তির ভালোবাসা সবসময় অটুট থাকে। অন্যদিকে, শুক্র নেতিবাচক হওয়ায় একজন ব্যক্তিকে অভাবের জীবন দেয়। এই ধরনের লোকেরা জীবনে অনেক আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়।
শুক্রের মহাদশার ইতিবাচক-নেতিবাচক প্রভাব-
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে শুক্রের মহাদশা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলে। শুক্রের মহাদশা ২০ বছর স্থায়ী হয়। জন্মকুণ্ডলীতে শুক্র উচ্চপদে থাকলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। অন্যদিকে শুক্র গ্রহের নিম্ন অবস্থানের কারণে এর অশুভ প্রভাব বহন করতে হয়। মহিমান্বিত শুক্র মহাদশার সময় দেশীয় সম্পদশালী করে তোলে। তাকে দেয় জীবনের সব আরাম ও বিলাসিতা। এই লোকেরা প্রেম এবং রোমান্সে পূর্ণ জীবনযাপন করে।
অন্যদিকে, দুর্বল শুক্র মহাদশার সময় দেশবাসীকে দারিদ্র্য, অভাব এবং সংগ্রাম দেয়। এমন ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জীবন ত্রুটি-বিচ্যুতিতে পরিপূর্ণ। পুরুষ স্থানীয়দের কিডনি বা চোখের সমস্যা থাকতে পারে। অন্যদিকে, মহিলা ব্যক্তির মধ্যে গর্ভপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
রাশিফলের শুক্রের দোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রতিকার
শুক্রবার দেবী লক্ষ্মীর পূজা করুন। মেয়েদের খির খাওয়ান।
শুক্রের বীজ মন্ত্র 'শুঁ শুক্রায়া নমঃ' বা 'শুঁ শুক্রায় নমঃ' প্রতিদিন কমপক্ষে ১০৮ বার জপ করতে হবে।
শুক্রবারে কোনও অভাবী ব্যক্তি বা ব্রাহ্মণকে দুধ, দই, ঘি, কর্পূর দান করুন।
প্রতি শুক্রবার পিঁপড়াকে ময়দা ও চিনি খাওয়ান।