আচমনের গুরুত্ব স্মৃতিগ্রন্থে বলা হয়েছে। অথর্ববেদ আচমন করে এবং জলযুক্ত ডান বুড়ো আঙুল দিয়ে মুখ স্পর্শ করে তৃপ্ত হয়। আচমনের পর মস্তকে অভিষেক করলে শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়
নিয়মিত পুজো থেকে শুরু করে বিশেষ আচার-অনুষ্ঠান ও যজ্ঞ প্রভৃতি সকল পুজোতে আচমন করা আবশ্যক। আচমন মানে জপ সহ পবিত্র জল খাওয়ার মাধ্যমে শরীর, মন এবং হৃদয়কে অভ্যন্তরীণভাবে শুদ্ধ করা। আচমনের অনেক পদ্ধতি শাস্ত্রে বলা হয়েছে। আচমন না করলে সেই পুজোকে অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। শুধু তাই নয়, আচমন করলে পূজার দ্বিগুণ ফলও পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। জেনে নিন পুজোতে আচমানের গুরুত্ব ও পদ্ধতি সম্পর্কে।
পুজোর আগে আচমন করার গুরুত্ব
আচমনের গুরুত্ব স্মৃতিগ্রন্থে বলা হয়েছে। অথর্ববেদ আচমন করে এবং জলযুক্ত ডান বুড়ো আঙুল দিয়ে মুখ স্পর্শ করে তৃপ্ত হয়। আচমনের পর মস্তকে অভিষেক করলে শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং আচমনের পর উভয় চক্ষু স্পর্শ করলে নাসিকা (নাক) স্পর্শ করে সূর্য, বায়ু এবং কান স্পর্শ করে সমস্ত গ্রন্থি তৃপ্ত হয়। তাই পূজার আগে আচমন করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া
প্রথমে পূজার স্থানে পূজা সংক্রান্ত যাবতীয় উপকরণ সংগ্রহ করুন।
তামার পাত্রে বা লোটায় পবিত্র গঙ্গার জল ভরে নিন।
পাত্রে একটি ছোট আচমনি (একটি ছোট তামার চামচ) রাখতে ভুলবেন না।
জলেতে তুলসী পাতা দিতে ভুলবেন না
ভগবানের ধ্যান করার সময় পাত্র থেকে কিছু জল বের করে তালুতে রাখুন। জপ সহ এই পবিত্র জলটি নিন, এই জলটি তিন বার নিন। জল খাওয়ার পর অবশ্যই কপাল ও কানে হাত লাগান। যদি কোনো কারণে আচমন করতে না পারেন, তবে এমন অবস্থায় শুধু ডান কানে স্পর্শ করলেও আচমন পদ্ধতি সম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
আচমনের নির্দেশ ও মন্ত্র
আচমনের সময় দিকনির্দেশনাও গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় আপনার মুখ উত্তর, উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব দিকে থাকা উচিত। এ ছাড়া অন্য কোনো দিকে করা পন্থা নিরর্থক বলে বিবেচিত হয়। জপ করার সময়, ‘ওম কেশবায় নমঃ, ওম নরানায় নমঃ, ওম মাধবায় নমঃ, ওম হৃষীকেশায় নমঃ। এই মন্ত্রগুলি পাঠ করার সময়, আপনার বুড়ো আঙুল দিয়ে আপনার মুখ মুছুন এবং ওম গোবিন্দায় নমঃ জপ করে আপনার হাত ধুয়ে নিন। এই পদ্ধতি ও নিয়মে যে আচমন করা হয় তা সম্পূর্ণ হয় এবং আপনার পুজো সম্পূর্ণ বলে গণ্য হয়।