জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কন্যা রাশিতে অথবা বৃশ্চিক লগ্নে জন্ম হলে এই রত্ন ধারণ করতে হয়। আবার রাশিচক্রে রাহুর দৃষ্টি হতে রক্ষার জন্য এবং রাহুর অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য গোমেদ ধারণ করা হয়। এই রত্ন সাধারনত লালচে, হলদে আভাযুক্ত, বেগুনী, জলপাই রঙ- এর ও হয়ে থাকে। লালচে আভাযুক্ত স্বচ্ছ উজ্জ্বল গোমেদের কার্যকারিতাই বেশী। সিংহলী গোমেদ ও ইটালিয়ান গোমেদ স্বচ্ছ, ও উজ্জ্বল আভাযুক্ত।
রত্নবিশেষজ্ঞদের মতে, খাঁটি বা আসল গোমেদ কষ্টি পাথরে ঘষলে দাগ পড়ে না বা ক্ষয় হয় না। উন্নতমানের গোমেদের ভিতরে সুক্ষ্ম বুদ বুদ এর মত দেখা যায়। লালচে আভাযুক্ত স্বচ্ছ উজ্জ্বল গোমেদের কার্যকারিতাই বেশী। বেশীর ভাগ গোমেদই পাওয়া যায়, সিংহলের রত্নপুরায়। এছাড়া থাইল্যান্ড সহ নরওয়ে, অষ্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, চীন, ভারতে গোমেদ পাওয়া যায়।
যে সকল মানুষের পায়ে পায়ে সমস্যা, একটার পর একটা সমস্যা লেগেই থাকে অথবা কোন কাজে হাত দিলেই সমস্যা এসে হাজির হয়, তাদের জন্য উপকারী রাশি রত্ন পাথর হচ্ছে গোমেদ পাথর।
জ্য়োতিষশাস্ত্রের মতে, গোমেদ ব্যবহারের ফলে দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা এবং মানসিক সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া খাঁটি গোমেদ ব্যবহার করলে যে কোনও পেশায় উন্নতি এবং সামাজিক ও আর্থিক দিকে উপকার পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া মৃগী রোগ, অ্যালার্জি, চোখের সংক্রামক, সাইনাস, পাইলস ও বুক ধরফরানো রোগে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
খাঁটি গোমেদ কোনও বইয়ের উপর রাখলে যদি ছাপার অক্ষর দুটো করে মনে হয়, তাহলে বুঝতে হবে রত্নটি খাঁটি গোমেদ।