কোনও বিশেষ দিনে পরিচিত বা কাছের কোনও মানুষকে গণেশর মূর্তি বা ছবি উপহার হিসেবে দেওয়া অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। শাস্ত্র মতে কাউকে কোনও ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি উপহার হিসেবে দেওয়া মানে তার সমৃদ্ধি কামনা করে আপনি তাকে সেই উপহার প্রদাণ করছেন। ঈশ্বরের আর্শীবার্দের ফলেই আমাদের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি যখন অপরের সমৃদ্ধি কামনা করে এই ধরনের উপহার দেবেন, তাতে পূণ্যলাভ আপনারও। তাই আগামীদিনে কোনও ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি উপহার হিসেবে দেওয়ার আগে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি-
কোনও বাড়ির গৃহপ্রবেশ বা কোনও মাঙ্গলিক কাজে আপনা অনেক সময় গণেশের বা শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি উপহার হিসেবে দিয়ে থাকি। সব সময় মনে রাখবেন যে মূর্তি বা ছবি আপনি দিচ্ছেন তা যেন খুব বড় মাপের না হয়। বাড়িতে খুব বড় আকারের ঈশ্বরের মূর্তি না থাকাই শ্রেয়।
উপহার দেওয়ার সময় অনেকেই স্টোনডাস্টের, বা ধাতুর তৈরি মূর্তি দিয়ে থাকেন। এই ধরনের মূর্তি পুজো করার জন্য একদমই উপযুক্ত নয়। পুজোর জন্য সব সময় মাটির বা পিতলের মূর্তিই শ্রেয়। তাই স্টোনডাস্টের, বা ধাতুর তৈরি মূর্তি ঘরে সাজিয় রাখার জন্য উপযুক্ত।
যদি কোনও গণেশের মূর্তির ডান দিকে শূর থেকে থাকে তবে সেই মূর্তির পুজো করা উচিৎ নয়। কারণ এই ধরনের মূর্তি পুজোর ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি হয়ে গেলে তার ফল মারাত্মক হতে পারে। তাই এই মূর্তিও ঘরে এমনি রেখে দেওয়া যেতে পারে, তবে পুজো করা উচিৎ নয়।
আপনি যদি উপহারে কোনও গণেশের মূর্তি পেয়ে থাকেন তবে বাড়ির প্রবেশ দ্বারে কোনও গণেশের মূর্তি রাখতে হলে সেই গণেশের শূর বাম দিকে রয়েছে এমন মূর্তি রাখা উচিৎ। এই ধরণের মূর্তি ঘরে পজিটিভ এনার্জি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
গণেশের শূর সোজা অবস্থায় রয়েছে এমন মূর্তি ঘরে রাখা অত্যন্ত শুভ। এই ধরণের মূর্তি ঘরের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।