কালসর্প দোষ কী? কেন কোনও ব্যক্তির এই যোগ দেখা দেয়! জ্যোতিষ মতে, যদি রাহু ও কেতু এক ঘরে থাকে আর পাঁচটা ঘরের মধ্যে যদি বাকী গ্রহ থাকে, তবে সেই যোগকে পূর্ণ কালসর্প যোগ বলা হয়। কোনও ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলিতে রাহু ও কেতুর অবস্থান নিয়ে বিন্দু দুটির মাঝখানে যদি বাকি গ্রহগুলি আটকে পড়ে, তাঁর কালসর্প যোগ রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। পাশাপাশি ষষ্ঠে রাহু এবং দ্বাদশে কেতু থাকলে ব্যক্তির জীবনে সম্পর্ক নিয়ে বিপর্যয় লেগে থাকে। এই যোগকে বলা হয় মহাপদ্ম কালসর্প যোগ।
কালসর্প যোগ যদি কোনও জাতক বা জাতিকার থাকে তাহলে অবশ্যই তার প্রতিকার নেওয়া প্রয়োজন। কারণ জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, কালসর্প যোগ বা কালসর্প দোষকে ভয়াবহ দশা বলেই মনে করা হয়। জ্য়োতিষশাস্ত্র মতে, কালসর্পযোগের পিছনে রয়েছে রাহু ও কেতুর ভূমিকা। যখন রাহু ও কেতুর মধ্যে সব গ্রহ থাকে এবং রাহু আর কেতু সর্বদা বিপরীত দিকে থাকে তবেই কালসর্প দোষ বা যোগ দেখা দেয়। এই যোগ থাকলে সারা জীবন দুর্ভাগ্যের সঙ্গে কাটে বলেই মনে করেন জ্যোতিষীরা। কোনও ব্যক্তির কালসর্প যোগ থাকলে তাকে প্রতিপদে বাধার সম্মুখীন হবে। তাদের সমস্ত কাজেই বাধার সৃষ্টি হয়।
এই যোগ বা দোষ কাটিয়ে ওঠার জন্য বা দোষ খণ্ডনের জন্য জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদরা নাগপঞ্চমীতে পুজো করার নির্দেশ দেন। যদি নিয়ম মেনে নাগ পঞ্চমীতে সঠিক তিথিতে পুজো করা হয়, তবে এই দোষ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তবে যদি পুজোর আচার পালনে কোনও ভুল হয়ে থাকে তবে দেখা দিতে পারে মারাত্মক সমস্যা। এছাড়া আষাঢ় মাসে বাড়িতে কালসর্প যন্ত্র টাঙিয়ে তার পুজো করারও বিধান রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্রে। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যেয় ধূপ ধুনো দেখিয়ে কালসর্প যন্ত্রে দেখান। দ্রুত এই দোষ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন।
তৃতীয়ে রাহু এবং নবমে কেতু অবস্থান করলে সন্তানদের নিয়ে বারবার সমস্যায় পড়তে হয়, এই যোগকে বলা হয় বাসুকী কালসর্প।
আবার লগ্নে রাহু এবং সপ্তমে কেতু অবস্থান করলে সেই ব্যক্তি ষড়যন্ত্রের শিকার হন। এই যোগকে অনন্ত কালসর্প যোগ বলা হয়।
দ্বিতীয়ে রাহু এবং অষ্টমে কেতুর অবস্থান হলে, সেই জাতক বা জাতিকাকে তীব্র অর্থ সংকটে পড়তে হয়। এই যোগ কে বলা হয় কুলিকা কালসর্প যোগ।
চতুর্থে রাহু এবং দশমে কেতু স্থিত হলে সম্পত্তি নিয়ে সংকট দেখা দেয়। এই যোগকে শঙ্খপাল কালসর্প যোগ বলা হয়।