হিন্দুশাস্ত্র মতে রুদ্রাক্ষের অর্থ হল ভগবান শিবের তৃতীয় চোখ থেকে জন্ম নিয়েছে যে উপাদান। একই সঙ্গে মনে করা হয় ১১ মুখী রুদ্রাক্ষ হল ভগবান শিবের বিভিন্ন শক্তির কেন্দ্র বিন্দু। যা সকল বিপত্তি বিনাশকারী ও সমৃদ্ধিকারী। অনেক সাধু সন্ন্যাসী এই ১১মুখী রুদ্রাক্ষকে সর্বশ্রেষ্ঠ দান বলে মনে করেন। একইসঙ্গে এই ১১মুখী রুদ্রাক্ষ এতটাই দুর্লভ যে যদি এটি কোনওভাবে পাওয়া যায় তাহলে তাকে মহাদেবের মতো পুজো করা উচিত।
কথিত আছে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে গোদান, ব্রাহ্মন ভোজন ও দেব সেবার ফল পাওয়া যায়। পুরাণ মতে এই ১১মুখী রুদ্রাক্ষ হল একাদশ রুদ্রের সমন্বয়। আবার অনেকে এই রুদ্রাক্ষকে ইন্দ্রদেব ও বজরংবলীর অধিপতি দেবতা হিসেবেও পুজো করেন। এই ১১মুখী রুদ্রাক্ষ সব রকম মনের ইচ্ছে পূরণ করতে সাহায্য করে। মনে করা হয় এই রুদ্রাক্ষ ধারনকারী সর্বত্র বিজয় লাভ করে। তবে এটি ধারণ করার সময় সঠিক নিয়ম মেনে তবেই ধারণ করা উচিত।
এছাড়াও এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, স্ট্রেস লেভেল কমায়। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে হলে পঞ্চধাতুর মোড়ক দিয়ে ধারণ করলে সুফল দ্রুত পাওয়া যায়। সোমবার বা শনিবার একটি পাত্রে এই ১১মুখী রুদ্রাক্ষ রেখে তাতে গঙ্গাজলে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তবেই ধারণ করতে হবে।
তবে ১১মুখী রুদ্রাক্ষ আসল না নকল তা জানার জন্য এক কাপ জলে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা রুদ্রাক্ষটি ভিজিয়ে রাখুন, যদি তার থেকে রং ছাড়তে থাকে তবে বুঝবেন সেটি নকল।