Bijli Baba Temple-রহস্যময় বিজলি বাবার মন্দির, বারো বছর অন্তর দুটুকরো হয় শিবলিঙ্গ

এই মন্দিরে প্রতি বারো বছর অন্তর ঘটে এক অবাক করা ঘটনা। কুলুর ব্যাস ও পার্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত এই মন্দিরে প্রতি বারো বছর অন্তর একবার বজ্রপাত ঘটে। 

ভারত (India) রহস্যে (Myterious) ঘেরা এক দেশ। অজানা এ দেশের কতটুকুই বা জানি। দিকে দিকে কত না নগর রাজধানী। তেমনই এক মন্দির হল হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) কুল্লু উপত্যকায় (Kullu Valley) বিজলি বাবার মন্দির (Bijli Baba Temple)। গবেষকরা বলেন ভারত চিরকালের স্থাপত্য- ভাস্কর্যের রহস্যময়তায় ভরপুর একটি দেশ। 

এত আশ্চর্য হয়ত সারা পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। সেই সমস্ত আশ্চর্যের মধ্যে হিন্দু দেবদেবীর মন্দির নিয়ে অনেক আশ্চর্য লোকগাথা ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। আর সেরকমই দেবভূমি হিমাচল প্রদেশ জুড়ে রয়েছে রহস্যে ঘেরা নানা দেবদেবীর মন্দির। তার মধ্যেই রয়েছে বিজলি বাবার আশ্চর্য মন্দির।

Latest Videos

এই মন্দিরেই প্রতি বারো বছর অন্তর ঘটে এক অবাক করা ঘটনা। কুলুর ব্যাস ও পার্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত এই মন্দিরে প্রতি বারো বছর অন্তর একবার বজ্রপাত ঘটে। আর এই বজ্রপাতে এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ দুভাগ হয়ে যায়। সেই সময় শিবলিঙ্গের ক্ষতে শুধু মাখনের প্রলেপ দেন পূজারি। তিনি মহাদেবের ক্ষত সারিয়ে তোলার জন্য দিনে বেশ কয়েকবার এই মাখনের প্রলেপ লাগান। কারণ তিনি মনে করেন এভাবে মহাদেবের ক্ষত নিরাময় ঘটে। এখানে মহাদেবকে কেউ বিজলি মহাদেব আবার কেউ মাখন মহাদেব বলে সম্বোধন করে থাকেন।

পুরাণ অনুযায়ী, একসময় এই অঞ্চলে এক দৈত থাকত। তার নাম কুলান্ত। একবার সেই দৈত্য সাপের রূপ ধরে নদীর প্রবহমান জলধারা আটকে দেবে বলে ব্যস নদীতে বিশালাকার অজগর সাপের রূপধরে নদীতে কুন্ডলী পাকিয়ে বসে ছিল। নদীর জলস্তর বাড়িয়ে গ্রামের মানুষদের ডুবিয়ে ফেলার কথা স্বয়ং মহাদেব জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন। তখন সেখানে তিনি উপস্থিত হন। আর দৈত্য কুলান্তকে বলেন, তোমার লেজে আগুন ধরেছে। 

দৈত্য পেছনের দিকে তাকাতেই মহাদেব তাঁর ত্রিশূল দিয়ে ধড় থেকে মুণ্ড আলাদা করে দেন। মারা যায় কুলান্ত। সেখানে এক বিরাট পাহাড় গড়ে ওঠে। কথিত আছে, কুলান্তকে বধ করার পরে ইন্দ্রকে তিনি বলেন, এখানে প্রতি বারো বছর বজ্র নিক্ষেপ করতে। যাতে মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা পায়। সেই রীতি অনুযায়ী প্রতি বারো বছরে একবার করে মন্দিরের ওপরেই বজ্রপাত হয়।

এই অঞ্চলের মানুষের জীবন, সম্পত্তি রক্ষা করার জন্যই মহাদেব এমন অনুরোধ করেছিলেন দেবরাজ ইন্দ্রকে। এই অঞ্চলের মানুষের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে ভেবেই প্রতি বারো বছর অন্তর এখানে বজ্রপাত করার আবেদন করেন মহাদেব। সেই অনুরোধ মেনেই প্রতি বারো বছর অন্তর মন্দিরের ওপরে বজ্রপাত হয়। ভেঙে দুটুকরো হয়ে যায় শিবলিঙ্গ। 

Share this article
click me!

Latest Videos

পুলিশি অভিযানে বড়সড় সাফল্য! উত্তেজনা রানাঘাটে, দেখুন | Ranaghat News Today
ইসকনের পাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কড়া বার্তা দিলেন বাংলাদেশকে? Narendra Modi
অসাধ্য সাধন! যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকার সত্ত্বেও ৮০০ গ্রামের শিশুকে বড় করে তুলল বারাসাত মেডিক্যাল
ফের ইডির ভয়াল থাবা! মধ্যমগ্রাম কাঁপলো ইডির দুঃসাহসিক অভিযানে, দেখুন | North 24 Parganas | ED Raid
'রোহিঙ্গারা মমতার ভোট ব্যাঙ্ক তাই তিনি বিএসএফকে জমি দিচ্ছে না' বিস্ফোরক মন্তব্য অগ্নিমিত্রার