ডমরু বাজিয়ে যদি ঘরে শিবের স্তব করা হয়, তাহলে ঘরে কখনোই দুর্ভাগ্য হয় না। এর শব্দের কারণে ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে না। ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়।
ত্রিকালদর্শী শিবকে সমস্ত দেবতাদের মধ্যে সর্বশক্তিমান এবং সরল-দয়াময় প্রকৃতির অধিপতি বলে মনে করা হয়। শিব পুরাণ অনুসারে, ভগবান শিব তাঁর শরীরে যে জিনিসগুলি পরিধান করেন যেমন গলায় সাপ, মাথায় চাঁদ, চুলে গঙ্গা, হাতে ত্রিশূল এবং ডমরু। ভগবান ভোলেনাথের কাছে এগুলো পরার পেছনেও একটি কারণ রয়েছে। আসুন জেনে নেই ত্রিশূল ও ডমরুর গুরুত্ব ও উপকারিতা যা সবসময় ভোলেনাথের সঙ্গে দেখা যায়।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে, বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতী যখন মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় আবির্ভূত হয়েছিলেন, তখন তার বক্তৃতায় উৎপন্ন ধ্বনি সুর ও সঙ্গীত বর্জিত ছিল। শাস্ত্র অনুসারে, তখন ভগবান শিব তাঁর ডমরু এবং তাঁর তান্ডব নৃত্য দিয়ে ১৪ বার সঙ্গীত তৈরি করেছিলেন এবং তখন থেকেই তিনি সঙ্গীতের প্রবর্তক হিসাবে মনে করা হয়।
ডমরু ঘরে রাখার উপকারিতা
ডমরু বাজিয়ে যদি ঘরে শিবের স্তব করা হয়, তাহলে ঘরে কখনোই দুর্ভাগ্য হয় না। এর শব্দের কারণে ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে না। ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে বাচ্চাদের ঘরে দামরু রাখলে তাদের উপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না এবং তাদের উন্নতিতে কোনও বাধা নেই।
কথিত আছে যে ডমরু থেকে খুব অলৌকিক মন্ত্রগুলি পাঠ করা হয়, এর শব্দ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়।
এর শব্দ এত শক্তিশালী যে এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনকে শান্ত করে।
আরও পড়ুন- কবে থেকে শুরু হচ্ছে ২০২২ সালের অম্বুবাচী উৎসব, জেনে নিন কামাখ্যা ধামের মেলা-সহ যাবতীয় তথ্য
আরও পড়ুন- বক্রী হচ্ছে শনি, ১২ জুলাই থেকে এই ৬ রাশির উপর পড়বে বিশাল প্রভাব
আরও পড়ুন- জুলাই মাসে ধনরাজ কুবের-এর কৃপা পাবে এই ৪ রাশি, জীবনে আসতে চলেছে বিশাল পরিবর্তন
মহাদেবের ত্রিশূল
শিবের ত্রিশূলকে রজ, তম ও সত গুণের প্রতীকও মনে করা হয়। কথিত আছে যে, শিবের ত্রিশূল তাদের যোগে তৈরি হয়েছে। মহাকাল শিবের ত্রিশূলের সামনে মহা বিশ্বে কোনও শক্তির অস্তিত্ব নেই। ভগবান শিবের প্রিয় ত্রিশূল ঘরে স্থাপন করলে সকল প্রকার অশুভ শক্তি নাশ হয়।