হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী কার্তিক মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মাসে যেমন শক্তির আরাধনা করা হয় তেমনই তলসী বিয়েও দেওয়া হয় এই মাসে। কালী পুজো হয় অমাবস্যা তিথিতে। আর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হয় তুলসী বিবাহ।
হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী কার্তিক মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মাসে যেমন শক্তির আরাধনা করা হয় তেমনই তলসী বিয়েও দেওয়া হয় এই মাসে। কালী পুজো হয় অমাবস্যা তিথিতে। আর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হয় তুলসী বিবাহ।
২০২২ সালে তুলসী বিবাহের তিথি রয়েছে ৫ নভেম্বর । হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণু টানা চার মাস ঘুমের পর এই দিনে জেগে ওঠেন। আর এই দিন থেকেই শুরু হয় শুভ সময়। এই দিন যে কোনও কাজ শুরু করতে পারেন আপনি। আটকে থাকা কাজও ভগবান বিষ্ণু আর তুলসীর কৃপায় সম্পন্ন হয়।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে ভগবান শালিগ্রাম ও দেবী তুলসীকে যথাযথভাবে পূজা করলে সকল মনোবাঞ্ছা পূরণের পাশাপাশি দাম্পত্য জীবনে আসা সমস্ত জিনিসও পূর্ণ হয়। বিভিন্ন ধরনের বাধাও দূর হয়।
হিন্দু ধর্মে এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর শালিগ্রাম অবতারের সঙ্গে দেবী তুলসীর বিয়ের প্রথা রয়েছে। তুলসীর বিয়ে দিলে মাঙ্গলিক ও ধর্মীয় কাজ শুরু করা যেতে পারে। কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথিতেই তুলসীর বিয়ে হয়। এটিকে দেবুথানী একাদশীও বলা হয়।
তুলসীর বিয়ের দিনক্ষণঃ
৫ নভেম্বর। সন্ধ্যে ৬টা ৮ মিনিটে পড়ে শুভযোগ।
সময় শেষ হয় পরের দিন অর্থাৎ রবিবার ৬ নভেম্বর বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে। শুভক্ষণ হল- রবিবার দুপুর ১টা ৯ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড থেকে শুরু করে ৩টে ১৮ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড পর্যন্ত।
তুলসী মন্ত্র :-
'মহাপ্রসাদ জননী সর্ব সৌভাগ্যবর্ধিনী, আধি ব্যাধি হারা নিত্যম তুলসী ত্বান নমোস্তুতে'
তুলসী পাতা বা গাছপালা স্পর্শ করার সময় এই মন্ত্রটি নিয়মিত জপ করতে হবে।