প্রাচীণ এই নিয়মগুলি আজও পালন করা হয়, এগুলির রয়েছে বিশেষ উপকারীতা ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখা

  • হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই ধর্মমতকে সনাতন ধর্ম নামেও অভিহিত করেন
  •  এই ধর্ম সারা পৃথিবীব্যাপী বিসৃস্ত
  • এই হিন্দু ধর্মে রয়েছে বিশেষ কিছু প্রথা
  • এই নিয়মগুলি পালনের মধ্যে রয়েছে বিশেষ উপকারিতাও

হিন্দু ধর্মকে বিশ্বের "প্রাচীনতম জীবিত ধর্মবিশ্বাস" বা "প্রাচীনতম জীবিত প্রধান মতবাদ" হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। এই ধর্ম সারা পৃথিবীব্যাপী বিসৃস্ত। এই ধর্মের কোনও একক প্রতিষ্ঠাতা নেই। অনাদি কাল থেকে এই পরম্পরা চলে আসছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই ধর্মমতকে সনাতন ধর্ম নামেও অভিহিত করেন। লৌহযুগীয় ভারতের ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মে এই ধর্মের শিকড় নিবদ্ধ। এই হিন্দু ধর্মে রয়েছে বিশেষ কিছু প্রথা। যা কেবলমাত্র সনাতন ধর্ম পালেনর জন্য নয় এই নিয়মগুলি পালনের মধ্যে রয়েছে বিশেষ উপকারিতাও। চলুন জেনে নেওয়া যাক হিন্দু ধর্মের এই বিশেষ নিয়মগুলি।

আরও পড়ুন- মে মাস কেমন প্রভাব ফেলবে মকর রাশির উপর, দেখে নিন

Latest Videos

হিন্দু ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী সকলে হাতজোড় করে প্রণাম বা নমস্কার করে। এই নমষ্কার বা প্রনাম করার সময় আঙুলের মাথাগুলি একে অপরের সঙ্গে স্পর্শ হওয়ার ফলে চাপের সৃষ্টি হয় যা পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের প্রেসার পয়েন্ট-কে সঞ্চালিত করে। সকালের সূর্য প্রণাম শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভোরের সূর্যের আলোতে অত তাপ থাকে না। সেই আলো চোখ ও শরীরের জন্য খুব উপকারী। সেই কারণেই হিন্দুধর্মে সূর্য প্রণামের রীতি রয়েছে। বিবাহিত মহিলাদের সিঁথিতে সিঁদুর পড়ার রীতি রয়েছে। কারন, সিঁদুর আগে পারদ, লেবু ও কাঁচা হলুদ দিয়ে তৈরি করা হত। এই মিশ্রণ শরীরের রক্তের প্রেসারকে ঠিক রাখে পাশাপাশি যৌন জীবন সক্রিয় রাখতেও সাহায্য করে।

আরও পড়ুন- কন্যা রাশির শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে, দেখে নিন আপনার রাশিফল

জানলে অবাক হবেন বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করার যে রীতি রয়েছে তাতেও রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। মানবদেহে সমস্ত শিরা-উপশিরা এসে মিলিত হয় বা শেষ হয় পায়ের আঙ্গুলের ডগায়। তাই যখন কারওর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা হয় তখন সেই ব্যক্তির শরীরে পঞ্চইন্দ্রিয় সক্রিয় হয়ে পজেটিভ এনার্জি উপন্ন করে। আর সেই প্রণম্য ব্যক্তি যখন মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন তখন সেই এনার্জি যে প্রণাম করছে তার শরীরে সঞ্চালিত হয়। যে কোনও মন্দিরে ঘন্টা লাগানো রয়েছে, যখন আমাদের খুব কাছ থেকে ঘন্টা বাজে তখন সেই ঘন্টা ধ্বনি মানব শরীরের ৭ টি হিলিন পয়েন্টকে প্রভাবিত করে। 

হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী মাটিতে খেতে বসার নিয়ম রয়েছে। মাটিতে খেতে বসলে সাধারণত পদ্মাসনে খেতে বসতে হয়। এইভাবে খেতে বসলে পাচনতন্ত্রের ক্রিয়া প্রভাবিত হয়, ফলে খাবার সহজে হজম হয়। হিন্দু ধর্মে নদীতে পয়সা ফেলার চল রয়েছে। আর নদীমাতৃক দেশে প্রাচীন কালে পানীয় জলের প্রধান উৎস ছিল এই নদীর জল। সেই সময় পয়সা তৈরি হত তামা দিয়ে। আর তামা ভেজানো জল শরীরের জন্য খুব উপকারী। সেই কারনেই এই নিয়মের চল শুরু হয়।

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari: 'পুলিশ গরু প্রতি ২০০০ টাকা তোলা তোলে' বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর
বাজার থেকে ফেরার পথেই ঘটলো অঘটন! আতঙ্কের ছায়া শান্তিপুরে, দেখুন | Nadia News Today
'ভাইপোর চাকর পুলিশ কেন বিজেপি পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার করল?' গর্জে উঠে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু
'কত বড় সাহস! পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছে ভোট দিতে যাবে না' এ কী অভিযোগ করলেন শুভেন্দু
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য, কী বললেন তিনি, দেখুন সরাসরি