কোজাগরি পূর্নিমার রাতে চাঁদের আলোয় রাখুন একবাটি পায়েস, আর্থিক বাধা কাটাতে ৫টি টোটকা

আগামী ৯ অক্টোবর পুর্নিমা। এটিকে কেউ শরদ পূর্ণিমা বলেন। কেউ আবার কোজাগরি পূর্ণিমা বলেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে এই পুর্ণিমা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি যথাযথভাবে পালন করলে লক্ষ্মীলাভের পথ খুলে যায়। 

Saborni Mitra | / Updated: Oct 07 2022, 07:06 AM IST

আগামী ৯ অক্টোবর পুর্নিমা। এটিকে কেউ শরদ পূর্ণিমা বলেন। কেউ আবার কোজাগরি পূর্ণিমা বলেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে এই পুর্ণিমা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি যথাযথভাবে পালন করলে লক্ষ্মীলাভের পথ খুলে যায়। অনেকে আবার বলে থাকেন এই দিনটি স্বাস্থ্য লাভের জন্য উপযুক্ত। কারণ এই দিন চন্দ্র থেকে যে জ্যোতি বার হয় তা অমৃতের সমান। 

সরদ পূর্ণিমা বা কোজাগরি পূর্ণিমায় চাঁদের ষোলো কলার আভার প্রতিটি পৃথিবীকে প্রভাবিত করে। এই রাতেই ধনদেবী লক্ষ্মী পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ান। চঞ্চলা লক্ষ্মী চাইলে কারও বাড়িতে অধিষ্ঠান করতে পারেন এই দিন থেকেই। এই দিনে লক্ষ্মী পুজো হয়। পাশাপাশি বেশ কিছু নিয়ম পালন করলে সুখ আর সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। 

শরদ পূর্ণিমায় লক্ষ্মী লাভ বা সুখ আর সমৃদ্ধির জন্য কয়েকটি নিয়ম পালনের কথা বলেন জ্যোতিষীরা। সেগুলি হলঃ 

পায়েসের টোটকা
শরৎ পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই রাতে এক বাটি পায়েস তৈরি করে খোলা আকাশের নিচে চাঁদের আলোয় রেখে দিন। চাঁদের রশ্মি পাবে এমন জায়গায় রাখবেন। এই রাতে চাদের আলো অমৃত সমান বলে দাবি করে জ্যোতিষীরা। তাই চাদের আলো পড়া পায়েসও অমৃত সমান। সেই পায়েস খেলে স্বাস্থ্য লাভ হয়। লক্ষ্মীও লাভ হয়। দাবি করা হয় এই পায়েস খেলে দীর্ঘ দিনের পুরনো রোগ সেরে যায়। 

গঙ্গা জলের টোটকা
পূর্ণিমার রাতে একটি বাটি করে গঙ্গাজল চাঁদের আলোয় রেখে দিন। সেই গঙ্গাজল দিয়ে শিবের অভিষেক করুন। তাতে জীবনের সকল বাধা দূর হয়। 

ঘি-এর টোটকা
পূর্ণিমার রাতে একটি বাটিতে করে ঘি খোলা আকাশে চাঁদের আলোতে রেখে দিন। সেই ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালালে দেবী লক্ষ্মীর আশির্বাদ পাবেন। ঘরের দুঃখ আর হতাশা কেটে যাবে। 

চালের টোকটা 
পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে একটি পরিচ্ছন্ন সাদা কাপড়ে মুড়ে চাল রেখে দিন চাঁদের আলোয়। পরের দিন সেই চাল মন্দিরে দান করুন। তাতে স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। 

কোজাগরি লক্ষ্মী পুজো
এই দিন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অর্থলাভের জন্য বা আর্থিক বাধা কাটাতে কোজাগরি লক্ষ্মী পুজো করুন। লাল বা হলুদ রেশমি কাপড়ে জড়িয়ে পাঁচটি কড়ি দেবীর কাছে রেখে দিন। তাতে অর্থাভাব কেটে যাবে। দেবীকে সুপারি অর্পন করলেও সুফল পাবেন। সেই সুপারি পরের দিন লকারে অবশ্যই রেখে দেবেন। 

Share this article
click me!