যে কোনও নির্মাণ অথবা কারখানা সম্পুর্ণভাবে বাস্তুনিয়ম অনুসরণ করে তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। বাড়ি তৈরির একেবারে শুরু থেকে শেষ অবধি যদি সমস্ত বাস্তুনিয়ম মেনে তা তৈরি করা যায় তবে সম্পুর্ণরূপে বাস্তুসম্মত বাড়ি হয়ে উঠতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় গ্রহদোষ না থাকলেও নানা বাধা বিপত্তির সম্মুখিন হতে হচ্ছে, তখন বুঝতে হবে বাড়িতে বা অফিসে বাস্তুদোষ আছে। জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু জিনিস যা শোবার ঘর বা বসার ঘরে থাকা অশুভ।
শোবার ঘর বা বসার ঘরে, জলপ্রপাতের কোনও ছবি টাঙাবেন না। এতে বাড়িতে খরচের পরিমাণ বাড়তে থাকে, চাকরিতে পদোন্নতি আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বাড়িতে শোওয়ার ঘরে বা বসার ঘরের কোনও কাঁটা জাতীয় গাছ রাখবেন না। এতে পরিবারের লোকজনের মধ্যে টেনশন বাড়তে থাকে।
শোবার ঘর বা বসার ঘরে তাজমলের ছবি বা কোনও মডেল রাখবেন না। কারণ, আপাতদৃষ্টিতে তাজমহল প্রেমের স্মৃতি হলেও আসলে একটা কবরস্থান। এই ছবি বা মডেল নেগেটিভ শক্তি বৃদ্ধি করে।
মহাভারত বা রামায়নের যুদ্ধের ছবি বাড়িতে শোওয়ার ঘরে বা বসার ঘরে রাখবেন না। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হিংসা, মনোমালিন্য, এমনকি রক্তপাতের ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।
শোবার ঘর বা বসার ঘরে কোথাও কৃত্রিম ফুল বা ফুলগাছ রাখবেন না। বাস্তুমতে আসল গাছের মাধ্যমে সূক্ষ্ম শক্তির যে আদান প্রদান হয় কৃত্রিম উদ্ভিদে তা হয় না। এই জাতীয় ফুল বা গাছ পরিবারের সদস্যদের মানসিক ক্ষতি করতে পারে।
শোবার ঘর বা বসার ঘরে ডুবন্ত কোনও জাহাজ বা নৌকার ছবি, শিল্পগুণ সম্পন্ন হলেও টাঙাবেন না। এতে পরিবারের আপনজনের মধ্যে যে মধুর বা স্নেহের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
শোওয়ার ঘরে কোনও ধারালো অস্ত্র রাখবেন না, এতে জীবনে ঋণাত্মক প্রভাব বাড়বে আর ঘুমের ক্ষতি হবে।
বাড়িতে কোথাও অচল দেওয়াল ঘড়ি থাকলে তা সারিয়ে ফেলুন। খারাপ বা অচল ঘড়ি আয়ের উপর কুপ্রভাব ফেলে।
আপনজন হলেও শোবার ঘর বা বসার ঘরে কোনও আত্মঘাতী ব্যক্তির ছবি রাখবেন না। এতে মনে ভয়ঙ্কর ঋণাত্মক প্রভাব পড়ে।