আমরা তো অনেক তীর্থস্থানে যাই। সেখানে গিয়ে নদীতে অথবা সাগরে স্নান করি। আমাদের প্রাচীন পুরাণে গঙ্গাস্নানের মাহাত্ম্যের কথা লেখা আছে। এমনকি গঙ্গার মাহাত্ম্যের কথা ভগবান শিব বলেছিলেন পার্বতীকে। তবে বিভিন্ন তীর্থ স্থানে স্নান করার একটি বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। আমাদের শাস্ত্রে সাত রকম স্নানের কথা বলা হয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, তীর্থস্থানে স্নান করলে শান্ত রাখা যায় নবগ্রহকে।
জীবনে বিভিন্ন গ্রহের সু-প্রভাবের পাশাপাশি কু-প্রভাবও আছে। আর সেই কুপ্রভাব কাটানোর জন্য তীর্থস্থানে স্নান করার কথা বলা হয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্রে। তবে এই স্নানের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মঙ্গল স্নান। মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গা স্নান, কার্ত্তিক পূর্ণিমায় কুম্ভ স্নান সহ বিভিন্ন মঙ্গল স্নান করলে জীবনে প্রচুর সমস্যা অনায়াসেই মিটিয়ে ফেলা যায় আর সেই সঙ্গে পূর্ণ অর্জনও করা যায়।
সেই রকমই নবগ্রহকে শান্ত রাখার জন্য তীর্থস্থানে স্নান করলেই হবে না। মানতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম। একটি মাটির কলসীতে সামান্য আতপ চাল, সাদা সর্ষে, কয়েকটি দূর্বা, সামান্য লাল চন্দন ও অল্প কালো তিল নিয়ে তাতে যে কোনও তীর্থস্থানের জল রেখে দিন। এরপর যখন স্নান করবেন কলসী থেকে এক গ্লাস জল নিজের স্নানের জলে মিশিয়ে নবগ্রহের শান্তি কামনা করে স্নান সেরে নিন।
এইভাবে পরপর তিন দিন স্নান করার পর অবশিষ্ট জল সহ কলসীটি গঙ্গায় সমার্পণ করুন। এই পুরও কাজটি যদি কোনও পূণ্য তিথিতে করতে পারেন তবে সুফল অবশ্যই পাবেন। তবে মকর সংক্রান্তিতে অজয়ের ঘাটে স্নান করলে গঙ্গাস্নানের পূণ্য অর্জন হয় বলে মনে করেন অনেকেই।