চাণক্যের শিক্ষাই মানুষকে জীবনে সফল হওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়। প্রতিটি ব্যক্তি তাদের ক্ষেত্রে সফল হতে চায়। চাণক্যের নীতি অনুসারে, সাফল্যের পথ খুব কঠিন নয়, তবে সাফল্য পেতে অবশ্যই কঠোর শৃঙ্খলা ও কঠোর পরিশ্রম অবলম্বন করতে হবে। চাণক্যের মতে একজন সফল দলনেতার মধ্যে বেশ কয়েকটিগুণ থাকা উচিত। এই গুণাবলী যার নেই সেই ব্যক্তি কখনই একজন সফল দলনেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। একজন যোগ্য নেতা হতে হলে সবার আগে মনে রাখতে হবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়ম বা নীতিগুলি কি কি-
দলনেতা হতে গেলে সেই ব্যক্তিকে সবার আগে স্বার্থপরতা ত্যাগ করতে হবে। একজন স্বার্থপর ব্যক্তি কখনোই একজন প্রকৃত দলনেতা হয়ে উঠতে পারেন না। দলনেতা হতে গেলে সময় মতো তার সমস্ত কাজ সমাপ্ত করার ক্ষমতা রাখতে হবে। তবেই জীবনে সাফল্য অর্জিত হবে। এই প্রতিযোগিতার যুগে সময় পরিচালনার গুরুত্ব অনেক। একজন নেতার তাই সর্বদা সময়ের গুরুত্ব বোঝা এবং তার ভিত্তিতে কৌশল তৈরি করা উচিত। সময়ের পরিচালনার সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি আরও একটি বিষয় অত্যন্ত গুরুতপূর্ণ তা হল, দলের প্রতিটি সদস্যের প্রতি সমান বোঝাপড়া এবং সচেতনতা থাকা উচিত। চাণক্য এর মতে, একজন দলনেতার জীবনে তখনই সফলতা লাভ করেন যখন তাঁর দলের প্রতিটি সদস্যের প্রতি সমান নজর ও বিবেচনা বোধ কাজ করে।
চাণক্যের মতে, যে দলনেতা তার বড় এবং ছোট সহকর্মীদের প্রতিভা এবং দক্ষতা কীভাবে ব্যবহার করতে তা জানেন তাকেই সফল দলনেতা বলা হয়। একজন ভাল দলনেতা সহকর্মীদের মেধা এবং দক্ষতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান রাখেন এবং সেই ভিত্তিতে কাজটি ভাগ করে দেন এবং তাদের কাছ থেকে আরও ভাল ফলাফল পান। যারা এটি করেন তাদের জীবনে সফলতা আসতে বাধ্য। এছাড়া পরিকল্পনা তৈরি করে কাজ করা যে কোনও লক্ষ্য অর্জনের জন্য জরুরি। যে কোনও কাজ সময় মতো সম্পন্ন করা যেতে পারে যখন ব্যক্তি সেই কাজটির পরিকল্পনা করে এবং সম্পাদন করেন। যে কোনও কাজ করার জন্য একটি পরিকল্পনা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।