জীবনের জটিলতর সময়ে সমস্ত বাধা ও বিপত্তি দূর করতে, সঙ্কটমোচন বজরঙ্গবলীকে স্মরণ করুন

  • হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা যিনি রামের একনিষ্ঠ ভক্ত
  •  পবননন্দন হিসেবে হিন্দুদের নিকট পূজনীয় তিনি
  • ৮ এপ্রিল বুধবার পালিত হবে হনুমান জয়ন্তী
  • রামনবমীর পরেই এদিনে জন্মগ্রহণ করেন পবনপুত্র হনুমান

Asianet News Bangla | Published : May 25, 2020 5:32 AM IST

হিন্দু শাস্ত্র ও পুরাণ মতে জীবনের সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে উঠতে সংকোটমোচন হনুমানজীর স্মরণ করা উচিত। হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা যিনি রামের একনিষ্ঠ ভক্ত। হিন্দু পুরাণে হনুমানকে বিশেষ স্থান দেয়া হয়েছে। রামায়ণ বর্ণিত হনুমান পবননন্দন হিসেবে হিন্দুদের নিকট পূজনীয়। রামায়ণের মূল চরিত্র রাম যাকে হিন্দুরা ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেবে দাবি করে তার অনুগত চরিত্র হিসেবে পাওয়া যায় এই হনুমানকে। তিনি বায়ুদেবতার পুত্র। হিন্দুদের কাছে হনুমান রামভক্ত হিসেবে পরিচিত।

আরও পড়ুন- ৭ দিন আগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয় হাজার বছরের পুরনো এই মন্দির, এর রহস্য আজও অজানা

হিন্দু পুরাণ মতে হনুমানের জন্ম হয় ভগবান শিবের বরে, হনুমান এর মাতা অঞ্জনা হলেন ভগবান শিবের পরম ভক্ত, স্বয়ং ভগবান শিব অঞ্জনার ভক্তিতে তুষ্ট হয়ে তাকে বীর সন্তানের জননীর বর প্রদান করে ৷ হনুমানকে বিশেষ স্থান দেয়া হয়েছে পূরাণ কাহিনিতে।  কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শেষ হলে অর্জুন রথ থেকে নেমে আসেন। কৃষ্ণ, হনুমানকে ধন্যবাদ জানান রথশীর্ষে অবস্থান করার জন্য। হনুমানও ধ্বজা-রূপ ত্যাগ করে স্বমূর্তি ধারণ করেন। তিনি বিদায় নিলে রথটি ভস্মে পরিণত হয়। হতবাক অর্জুনকে কৃষ্ণ জানান, ভয়ানক সব অস্ত্র এই রথের উপরে বর্ষিত হয়েছে। হনুমান রক্ষা না-করলে রথটি অনেক আগেই ভস্মীভূত হতো।

আরও পড়ুন- নিজের মনের মত শান্তিপূর্ণ জীবন কাটাতে, মনে রাখুন জ্যোতিষশাস্ত্রের নিয়মগুলি

হনুমান মূর্তি দক্ষিণমুখী, হওয়া অত্যন্ত ফলদায়ক। দক্ষিণ দিকটি যম অর্থাৎ যমরাজের সময়কাল হিসাবে বিবেচিত হয়। হনুমান হলেন রুদ্র অর্থাৎ শিবের অবতার, যিনি সময়ের নিয়ামক। তাই দক্ষিণমুখী হনুমানের উপাসনা করলে মৃত্যু, ভয় ও উদ্বেগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই জীবনের সবচেয়ে জটিলতম পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সঙ্কটমোটন হনুমানের স্মরণাপন্ন হন। প্রতিদিন ভক্তিভরে হনুমানচলিশা পাঠ করুন। খুব শিঘ্রই জীবনের যাবতীয় বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

Share this article
click me!