গরুড় পুরাণে, মানুষের কর্মের বিবরণ বলা হয়েছে, যার কারণে মানুষের পাপ এবং পুণ্য নির্ধারিত হয়। শুধু তাই নয়, এই পুরাণে এমন তথ্যও দেওয়া হয়েছে যে মৃত্যুর পর পরের জন্মে কোনও মানুষ পুরুষ হবে নাকি নারী?
গরুড় পুরাণ হিন্দুধর্মে একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এবং এটি একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পরে পঠিত হয়। কথিত আছে, মানুষ তার ভালো-মন্দ কাজের ফল পায়, যে ভালো কাজ করে সে মৃত্যুর পর স্বর্গসুখ পায়। সেই সাথে যে খারাপ কাজ করে তাকে নরকে অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। গরুড় পুরাণেও আমরা এর উল্লেখ পাই। গরুড় পুরাণে ১৯ হাজারেরও বেশি শ্লোক রয়েছে যাতে পুণ্য এবং পাপ কর্মের উল্লেখ রয়েছে। হিন্দুধর্মের ১৮টি মহাপুরাণের মধ্যে গরুড় পুরাণ হল অন্যতম। এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত একটি বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থ।
গরুড় পুরাণে, মানুষের কর্মের বিবরণ বলা হয়েছে, যার কারণে মানুষের পাপ এবং পুণ্য নির্ধারিত হয়। শুধু তাই নয়, এই পুরাণে এমন তথ্যও দেওয়া হয়েছে যে মৃত্যুর পর পরের জন্মে কোনও মানুষ পুরুষ হবে নাকি নারী? নতুবা মানুষের যোনি থেকে বেরিয়ে আসার পর সে কোনও অন্য প্রাণী বা কীটপতঙ্গের জীবন পাবে।
এভাবে পরবর্তী জন্ম নির্ধারণ করা হয়
১. গরুড় পুরাণে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোনো পুরুষ যদি নারীর মতো আচরণ করে, তাহলে সেই পুরুষের আত্মা পরবর্তী জীবনে নারীর রূপ ধারণ করে।
২. যে ব্যক্তি তার কোনো বন্ধুকে প্রতারণা করে বা প্রতারণা করে, পরবর্তী জীবনে সে পাহাড়ে বসবাসকারী শকুনে পরিণত হয়।
৩. যদি কোনো ব্যক্তি ধর্ম না মেনে ধর্মের বিরোধিতা করে তাহলে সে ব্যক্তি পরবর্তী জীবনে কুকুর বা গাধা হয়ে যায়।
৪. কোন পুরুষ কোন নারীকে হত্যা করলে পরবর্তী জীবনে সে কুষ্ঠরোগী হয়ে জন্মায়।
৫. যে ব্যক্তি অন্যের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক রাখে সে নরকে যায় এবং নেকড়ে, কুকুর, শকুন, শেয়াল, সাপ বা কাকের জন্ম পায়।
৬. বিয়ের পর পরের জীবনে বাদুড়ের যোনিতে জন্ম নেয় অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নারীরা।
৭. গরুড় পুরাণে এটাও বলা হয়েছে যে একজন ব্রাহ্মণ যে উপযুক্ত চরিত্রের শিক্ষা দেয় না সে পরবর্তী জন্মে ষাঁড় হয়।
৮. যেসব নারী ঘরে ঝগড়া করে তারা পরবর্তী জীবনে জলের পোকা হয়ে জন্মায়।
৯. যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতা বা ভাইবোনদের উপর অত্যাচার করে সে পরবর্তী জন্ম পায় কিন্তু সে পৃথিবীতে আসতে পারে না কারণ সে গর্ভেই মারা যায়।
১০. যে ব্যক্তি একজন মহিলার গায়ে হাত তোলেন তাকে পরবর্তী জীবনে অনেক রোগের সম্মুখীন হতে হয়।