চাণক্য নীতি ব্যক্তিকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে পরিচালিত করতে উদ্বুদ্ধ করে। চাণক্যের শিক্ষাগুলি একজন ব্যক্তিকে ভাল-মন্দকে আলাদা করতে শেখায়। চাণক্য ভারতের সেরা পণ্ডিতদের মধ্যে গণ্য হয়। আচার্য চাণক্য দক্ষ শিক্ষকের পাশাপাশি দক্ষ অর্থনীতিবিদও ছিলেন। চাণক্য কৌটিল্য এবং বিষ্ণুগুপ্ত নামেও পরিচিত। চাণক্য বিশ্বখ্যাত তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ছিলেন। চাণক্য তাঁর জীবদ্দশায় যা কিছু বুঝেছিলেন, তা তিনি চানক্য নীতিতে লিপিবদ্ধ করেছেন। আজও চাণক্য নীতির প্রাসঙ্গিকতা কমেনি। চাণক্য নীতিমালার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিও আপনার জানা উচিত।
আরও পড়ুন- ফেব্রুয়ারি মাস কেমন কাটবে কন্যা রাশির, দেখে নিন ...
চাণক্যের মতে একজন ব্যক্তি তার অভ্যাস দ্বারা উত্তম অথবা অধম হিসেবে পরিচিতি পায়। অতএব, জীবনে সফল হতে এবং প্রত্যেকের ভালবাসা লাভ করতে হলে, মানুষের উচিত ভুল অভ্যাস থেকে দূরে থাকা। চাণক্য এমন কিছু অভ্যাস এড়ানোর কথা তাঁর নীতিতে উল্লেখ করেছেন, যার দ্বারা একজন ব্যক্তি সর্বদা ভুল কাজ করার থেকে নিজেক বাঁচাতে পারবেন। জেনে নেওয়া যাক সেই অভ্যাসগুলি কি কি-
আরও পড়ুন- রবিবার ৫ রাশির সুখবর পাওয়ার দিন, দেখে নিন আপনার রাশিফল
কোনও ব্যক্তিকে অর্থ সম্পর্কিত বিষয়ে লোভ করা উচিত নয়। চাণক্যের নীতি অনুসারে, কোনও ব্যক্তিকে সর্বদা অর্থের পিছনে চালানো উচিত নয়। চাণক্য বিশ্বাস করেন যে অর্থ কেবল একটি উপায় হিসাবে ব্যবহার করা উচিত। এটি অনুশীলনযোগ্য না। যে ব্যক্তি কেবল অর্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া শুরু করে। কেবল অর্থ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করে। সেই ব্যক্তি এই সম্পদের সঙ্গে এতটাই সংযুক্ত হয়ে যায় যে সে জীবনের আসল সুখ ভোগ করতে পারে না। এ জাতীয় মানুষ জীবন যাপনের শিল্প থেকে দূরে সরে যায়। কারণ অর্থের প্রতি আরও আকৃষ্ট হয়ে একজন ব্যক্তির ভাল গুণগুলি নষ্ট হতে শুরু করে। অর্থ এলে এই জাতীয় ব্যক্তি অহংকারে ডুবে যায়। পরে এই অহংকারও ব্যক্তির পতনের কারণ হয়ে ওঠে। চাণক্যের মতে একজনের যতটুকু অর্থ প্রয়োজন ততটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। কারণ সাধ্যের খুব বেশি কিছুর প্রত্যাশা থাকলেই জীবন নষ্ট হতে শুরু করে।