গরুড় পুরাণে আদর্শ জীবন ও মৃত্যুর পরে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এই পুরাণ অনুসারে, প্রত্যেকের সারাদিনের কাজে কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
কথিত আছে, মানুষ তার ভালো-মন্দ কাজের ফল পায়, যে ভালো কাজ করে সে মৃত্যুর পর স্বর্গসুখ পায়। সেই সাথে যে খারাপ কাজ করে তাকে নরকে অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। গরুড় পুরাণেও আমরা এর উল্লেখ পাই। গরুড় পুরাণে ১৯ হাজারেরও বেশি শ্লোক রয়েছে যাতে পুণ্য এবং পাপ কর্মের উল্লেখ রয়েছে। হিন্দুধর্মের ১৮টি মহাপুরাণের মধ্যে গরুড় পুরাণ হল অন্যতম। এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত একটি বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থ।
এই গ্রন্থে প্রধানত হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর লীলা বর্ণনা করা হলেও এটিতে সকল দেবদেবীরই মাহাত্ম্য কীর্তন করা হয়েছে। এই গ্রন্থের আদিতম পাঠটি সম্ভবত খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দের রচনা। কিন্তু পরবর্তীকালে দীর্ঘ সময় ধরে এটি সংশোধিত ও বিবর্ধিত হয়ে থাকবে। গরুড় পুরাণে আদর্শ জীবন ও মৃত্যুর পরে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এই পুরাণ অনুসারে, প্রত্যেকের সারাদিনের কাজে কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। গরুড়ের কৌতূহল মেটানোর জন্য ভগবান বিষ্ণু যা কিছু বলেছিলেন, গরুড় পুরাণে তা উল্লেখ করা হয়েছে। গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে যে মহিলারা যখন দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন, তখন পুরুষদের সেগুলি দেখা উচিত নয়, আসুন আপনাদের বলি এই দুটি কাজ কোনটি।
১. বুকের দুধ খাওয়ানো
মহিলারা তাদের শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে খাবার দেন, খাবার গ্রহণের সময় শিশুটি নিষ্পাপ থাকে। এমন অবস্থায় তাদের স্তন খাওয়ানোর সময় কখনই দেখা উচিত নয়, যদি কেউ গরুড় পুরাণের এই নিয়ম লঙ্ঘন করে এবং খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তার দিকে তাকায়, তাহলে সে মহাপাপের অংশীদার হয়। এমন পাপীকে মরণোত্তর নরকে কঠিন অত্যাচার ভোগ করতে হয়।
২. স্নানের সময়
গরুড় পুরাণ অনুসারে, যখন কোনও মহিলা নগ্ন অবস্থায় স্নান করেন, তখন কোনও পুরুষ যেন তাকে দেখতে না পায়। এমতাবস্থায় কোন পুরুষ যদি কোন নারীকে দেখে তবে সে গুনাহের পাত্র হয়ে যায়, যার ফলে তার সমস্ত পুণ্যকর্ম নষ্ট হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, এ ধরনের পুরুষদের নরকে কঠোর শাস্তিও দেওয়া হয়।