CNG Car Sales: ভারতে কি ক্রমেই বাড়ছে সিএনজি গাড়ির চাহিদা? রিপোর্টে বড় ইঙ্গিত

Published : Jun 21, 2025, 10:49 AM IST
CNG cars with large boot space

সংক্ষিপ্ত

CNG Car Sales: গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন? সেক্ষেত্রে সিএনজি গাড়ি হতে পারে সেরা একটি অপশন।

CNG Car Sales: ২০২৪ সালে সিএনজি গাড়ির বিক্রি ৩৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ির তুলনায় সিএনজি গাড়ি কেনার দিকেই ঝুঁকছেন বেশিরভাগ মানুষ। ভারতবর্ষে সিএনজি যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রি আগের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট বিক্রিতে ৩৫৳ বৃদ্ধি পেয়েছে সিএনজি মডেলগুলি (CNG car sales India)। পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধি, বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর ক্রেতাদের আস্থার অভাব এবং তরল জ্বালানির উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণের জেরেই এই বৃদ্ধি বলে মনে করছেন শিল্প মহলের বিশেষজ্ঞরা।

সিএনজি গাড়ির বিক্রি কীভাবে বৃদ্ধি পেল?

গত ২০২৪ সালে, সিএনজি গাড়ির বিক্রি ১,১৫,৪৩২ ইউনিটে পৌঁছেছে। যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ১৬.১৩% বেশি। মোট ৭১,৮১১ টি গাড়ি বিক্রি করেছে মারুতি সুজুকি। অন্যদিকে, টাটা মোটরস বিক্রি করেছে ১৫,৮১৫টি সিএনজি গাড়ি।

SIAM এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিজেল গাড়ির বিক্রি ১৭% থেকে ১৯%-তে গিয়ে পৌঁছেছে। তবে সিএনজি গাড়ি কেনার দিকেই বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা।

সিএনজি গাড়ির চাহিদা কেন বাড়ছে?

সিএনজি গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রধান কারণ হল পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধি। ভারতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় বর্তমানে অনেকটাই বেশি। বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকার উপরে চলছে। বলতে গেলে, ডিজেলের দামও প্রায় একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। এমতাবস্থায় কম খরচে চলা সিএনজি গাড়ি মানুষের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

উদাহরণস্বরূপ, ১ কেজি সিএনজির দাম প্রায় ৭৫-৮০ টাকা। ফলে, সিএনজি গাড়ির লিটার প্রতি খরচ ২.৫ থেকে ৩ টাকার মধ্যে থাকছে। অপরদিকে, পেট্রোল গাড়ির ক্ষেত্রে এই খরচ ৬-৮ টাকার মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই, মাসে অনেকটা টাকা সাশ্রয় হতে পারে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে সংশয়

বৈদ্যুতিক গাড়ি ভবিষ্যতের পথ দেখালেও, এই নিয়ে মানুষের মনে এখনও পুরোপুরি আস্থা তৈরি হয়নি। অনেকক্ষেত্রেই চার্জিং স্টেশনের অভাবও ক্রেতাদের সমস্যায় ফেলছে। তাছাড়া ব্যাটারির আয়ু নিয়েও মানুষের মনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কিছু গাড়িতে তো আবার ব্যাটারি বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে। যা ইলেকট্রিক ভেহিকেল কেনা থেকে মানুষকে কিছুটা ভাবাচ্ছে। এমনিতে বৈদ্যুতিক গাড়ির দামও অনেকটা বেশি। লম্বা ট্যুরের জন্য এগুলো একেবারেই উপযুক্ত নয়।

সাবসিডি এবং সরকারি প্রণোদনা

ভারত সরকার এবং কিছু রাজ্য সরকার সিএনজি গাড়ির ব্যবহারে উৎসাহ দিতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। পরিবেশ রক্ষার জন্য সিএনজি গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে আরও বেশি করে। এমনকি, রেজিস্ট্রেশন ফি-ও কমানো হয়েছে। পরিবেশবান্ধব গাড়ির জন্য কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে, সিএনজি পাম্পের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে।

গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলির দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন

চাহিদা বৃদ্ধির কারণে, প্রধান গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলিও সিএনজি মডেলের উপর বেশি করে জোর দিচ্ছে। মারুতি সুজুকি, টাটা মোটরস, হুন্ডাইয়ের মতো কোম্পানিগুলি তাদের জনপ্রিয় মডেলগুলোর সিএনজি সংস্করণ ইতিমধ্যেই বাজারে নিয়ে এসেছে।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৫ সালে মোট গাড়ির ২৫% হবে সিএনজি চালিত। গত ২০১১ সালে, এই হার ছিল মাত্র ১১%। বর্তমানে সেই চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

একাধিক ইলেকট্রিক গাড়ি আনছে মারুতি, দেখে নিন এক ঝলকে, রইল বিস্তারিত
BMW F 450 GS: নতুন BMW F 450 GS লঞ্চ হচ্ছে কবে? সামনে চলে এল মেগা আপডেট