
নাহলে খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। গাড়ির জীবনকাল বাড়ানোর জন্য কি কি টিপস মেনে চলতে হবে তা এবার জেনে নেওয়া যাক। গাড়ি বাইরে থেকে ভালো দেখালেও ইঞ্জিন তেল, ব্রেক ফ্লুইড, কুল্যান্ট, উইন্ডশীল্ড ওয়াশার ফ্লুইড এই ধরণের তেল সময়ে সময়ে পরীক্ষা করে বদলাতে হবে। নাহলে গাড়ি ভেতরে ভেতরে নষ্ট হয়ে যাবে।
বাইরে থেকে কোনো লক্ষণই প্রকাশ পাবে না। গাড়ি ভালো ভাবে চলার জন্য ইঞ্জিন তেল ইত্যাদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গাড়ির প্রাণ বলা চলে।
এগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে লেভেল ঠিক আছে কিনা। প্রয়োজনে বদলাতে হবে। এতে গাড়ির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
বর্ষাকালে বৃষ্টি পড়লে রাস্তা ঠিক ভাবে দেখা যায় না, তখন ওয়াইপার ব্যবহার করি। তখনই মনে পড়ে ওয়াইপার বদলাতে হবে। কিন্তু এবার সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা না করে তাড়াতাড়ি বদলে ফেলুন। ওয়াইপার নষ্ট হলে তাড়াতাড়ি না বদলালে গ্লাস নষ্ট হয়ে যাবে।
ওয়াইপার বদলালে কয়েকশ টাকা খরচ হবে। গ্লাস বদলালে হাজার টাকা খরচ হবে। ওয়াইপার ব্লেড ঠিক ভাবে কাজ করার জন্য সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ব্লেড নষ্ট হলে তাড়াতাড়ি বদলাতে হবে।
ব্রেক প্যাড, রোটর ঘষা লাগার আগেই সেগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের দ্বারা নিয়মিত পরীক্ষা করানো উচিত। প্রয়োজনে তাড়াতাড়ি বদলাতে হবে। নাহলে অপ্রয়োজনীয় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। ব্রেক সিস্টেম ভালো থাকলে ভ্রমণ আনন্দদায়ক হবে।
ক্ষয় বা লিক হলে তাড়াতাড়ি মেরামত করতে হবে। ব্যাটারিতে অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকলেও পরীক্ষা করে তাড়াতাড়ি মেরামত করতে হবে। ব্যাটারির ঢাকনা খুলে তরল পদার্থের পরিমাণ পরীক্ষা করতে হবে। ব্যাটারি রক্ষণাবেক্ষণ ভালো থাকলে স্টার্টিং সমস্যা হবে না।
টায়ারের অবস্থা নিয়মিত পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও ফাটা থাকলে তাড়াতাড়ি টায়ার বদলাতে হবে। নাহলে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। টায়ারে কম বা বেশি বাতাস থাকলেও সমস্যা। গাড়ির ব্র্যান্ড অনুযায়ী টায়ারে কত বাতাস থাকবে তা কোম্পানি নির্ধারণ করে। সেই অনুযায়ী টায়ারে বাতাস দিতে হবে। টায়ার ভালো রাখলে ড্রাইভিং নিরাপদ হবে। ইন্ধন ব্যবহারও কমবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।