Facebook-এর 'হাহা' ইমোজি 'সম্পূর্ণ হারাম', ফতোয়া জারি করে 'হাহা'র শিকার মৌলবী

ফেসবুকের 'হাহা' ইমোজির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি

এটি মুসলমানদের জন্য 'সম্পূর্ণ হারাম' বলে দাবি

ফতোয়া জারি করলেন বিশিষ্ট বাংলাদেশি মৌলবী

জবাবে একগাদা 'হাহা'ই উপহার পেলেন তিনি

 

Asianet News Bangla | Published : Jun 24, 2021 9:52 AM IST

বাংলাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট মৌলবী আহমাদুল্লাহ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয় তিনি। এবার তিনি ফতোয়া জারি করলেন সোশ্যাল মিডিয়ার একটি অন্যতম জনপ্রিয় বিষয় 'হাহা' ইমোজির বিরুদ্ধে। হাসি, রসিকতা, মস্করা, উপহাস - অনেকরকম অনুভূতিই প্রকাশ করা যায় এই একটিমাত্র ইমোজি দিয়ে। আর তার বিরুদ্ধেই ফতোয়া জারি করে সম্প্রতি আহমাদুল্লাহ দাবি করেছিলেন এটি মুসলমানদের জন্য 'সম্পূর্ণ হারাম'। জবাবে কিন্তু একগাদা 'হাহা'ই উপহার পেলেন তিনি।

ফেসবুকে 'হাহা' ইমোজির ব্যবহারের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে সম্প্রতি এই বাংলাদেশি মৌলবী একটি তিন মিনিটের ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, আজকাল, অনেকেই অপরকে উপহাস করার জন্য ফেসবুকের 'হাহা' ইমোজি ব্যবহার করি। কেউ যদি 'হাহা' ইমোজি শুধুমাত্র মজা পাওয়া বোঝাতে ব্য়বহার করে এবং সেই বিষয়বস্তু পোস্ট করা ব্যক্তির উদ্দেশ্যও যদি মজা দেওয়াই থাকে, তবে ঠিক আছে। কিন্তু, যদি 'হাহা' ইমোজি অন্য কাউকে উপহাস করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, তবে তা ইসলাম অনুসারে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এই কারণে মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশে সকলকে উপহাস অর্থে ফেসবুকে 'হাহা' ইমোজি না ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যদি কোনও মুসলমানকে আঘাত করা হয়, উপহাস করা হয় 'হাহা' ইমোজি দিয়ে, তবে সেই মুসলমান খারাপ ভাষা ব্যবহার করে তার সাড়া দিতে পারে। সেটা একেবারেই কাম্য নয় বলে জানিয়েছিলেন আহমদুল্লাহ।

২০ লক্ষ বারেরও বেশিবার ভিডিওটি ভিউ করা হয়েছে। তবে তা আহমদুল্লাহ-র ফেসবুক এবং ইউটিউব-এর ফলোয়ার সংখ্যার নিরিখে একেবারেই চমকে দেওয়ার মতো নয়। দুই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে আহমাদুল্লাহর ফলোয়ার রয়েছে প্রায় ৩ কোটি। বাংলাদেশি টেলিভিশনেও তিনি নিয়মিত ইসলাম ধর্ম বিষয়ে আলোচনা করেন। তবে সমস্যা হল তিনি ভিডিওতে যে 'হাহা' ইমোজি উপহাস অর্থে ব্যবহারের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছেন, সেই 'হাহা' ইমোজি দিয়েই তাঁর ভিডিওটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেশিরভাগ মানুষ।

তবে, এই আহমদুল্লাহ এক নতুন শ্রেনির বাংলাদেশি ইসলাম প্রচারকদের প্রতিনিধি। এই নতুন যুগের ইসলামিক প্রচারকরা ধর্মীয় এবং সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মতামত প্রচার করতে ব্যবহার করেন সোশ্যাল মিডিয়া। কোটি কোটি মানুষ তাঁদের ফলো করে থাকেন। কেউ কেউ আবার ধর্মীয় বিদ্বেষও প্রচার করে থাকেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। আবার কেউ কেউ তাঁদের মজাদার দাবি-ফতোয়ার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া সেলিব্রিটিতে পরিণত হয়েছেন।

 

Share this article
click me!