পূর্বাভাস মেনে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার বুকে বুধবারই আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। প্রবল ঝড়, ভারি বৃষ্টি ও সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস— আমফান বঙ্গোপসাগরের বুকে অন্যতম ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দিঘা উপকূলের স্থলভাগ স্পর্শ করার পরে বুধবার বিকেলেই বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢোকে ঘূর্ণিঝড় আমফান। তবে তার আগেই বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়।
সাগর থেকে উপকূলে ঢুকতে গিয়ে টানা চার ঘণ্টার বেশি সময় তাণ্ডব চালিয়েছে আমফান। এই তাণ্ডব পশ্চিমবঙ্গে বেশি চললেও একই সঙ্গে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনার নিম্নাঞ্চলও জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েও থেমে নেই আমফান। এখনও পর্যন্ত আমফানের ফলে তৈরি হওয়া দুর্যোগে পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, ভোলা ও বরগুনায় ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকেই আমফানের কারণে রাজধানী ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি ও ঝড় দেখা দেয়। বুধবারও সারাদেশে বৃষ্টি হচয়। তবে ঘূর্ণিঝড় আমফান স্থলভাবে উঠে আসার পর বৃষ্টি থেকে ঝড়ের শক্তি বাড়তে শুরু করে।
আমফানের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল এখনো তীব্র ঝড়ের কবলে। পুরো অঞ্চল জুড়ে লাখ লাখ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগও। সাইক্লোন আম্পান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতেই মূলত তীব্রভাবে আঘাত হেনেছে। তবে এই সাইক্লোনের মূল কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ থাকায় এটি বাংলাদেশে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে।, এটি এখন বাংলাদেশের সাতক্ষীরা-খুলনা অঞ্চল থেকে উত্তর দিকে যাচ্ছে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮০ হতো ১০০ কিলোমিটার রয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আমফান এখন কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে।