এনআরসি-র চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরও অসমে নাগরিকপঞ্জী নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। সেই সঙ্গে আশঙ্কার ঢেউ আছড়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। এমনকী এর আঁচ গিয়ে পড়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশেও। এই পরিস্থিতিতেই ভারত সফরে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাতে বিশেষ কাজ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। ঢাকার অস্বস্তি এখনও কাটেনি।
শনিবার, হাসিনার সঙ্গে মোদীর বৈঠকে উঠে আসে নাগরিকপঞ্জীর প্রসঙ্গও উঠে আসে। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে হাসিনার বিদেশ নীতি উপদেষ্টা গওহর রিজভি জানান, মোদী হাসিনাকে বলেছেন এনআরসি নিয়ে এখনই বাংলাাদেশের চিন্তা করার কিছু নেই। এটা একটা লম্বা পদ্ধতি। যা হবে তা আইন মেনেই হবে।
কিন্তু, রিজভির পরের মন্তব্য়েই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে মোদীর এই আশ্বাসবানী আদৌ বাংলাদেশ প্রশাসনের আশঙ্কা দূর করতে পারেনি। বাংলাদেশের বিদেশ নীতি উপদেষ্টা বলেছেন, ভারতের রাজনীতিবিদদের মতো মন্তব্য তাঁদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথায় ভরসা করা ছাড়া তাঁদের আর কোনও উপায় নেই।
বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এসে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর মন্তব্য ঢাকাকে বেশ চিন্তায় ফেলেছে। অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, অসমের ১৯ লক্ষ মানুষ আর ভারতের নাগরিক নন তা নির্ধারিত। এরপর জাতীয় নাগরিকপঞ্জীকে ভারতের জাতীয় নীতিতে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রিজভি জানিয়েছেন অমিত শাহের এই মন্তব্য নিয়ে তাঁরা মরেন্দ্র মোদীকে প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে কোনও সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।