করোনা ভাইরাস নিয়ে ত্রস্ত হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। করোনা রুখতে নানা ধরনের নিয়মবিধি মেনে চলার পরেও অজান্তেই শরীরের বাসা বাধছে এই মারণ ভাইরাস। যত দিন যাচ্ছে করোনার নিত্যনতুন উপসর্গ প্রকাশ্যে আসছে। যা নিয়েই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। শুটিং থেকে, সিনেমা মুক্তি সবটাই বন্ধ ছিল এতদিন। আনলক শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীর সব কিছু আবার খোলা শুরু হয়েছে। যদিও কড়া বিধিনিষেধ, সামাজিক দূরত্ব মেনেই সবটাই হচ্ছে। ফের লকডাউনের কড়াল থাবা পড়ল টলিপাড়ায়। সপ্তাহে ৮৪ ঘন্টা পর্যন্ত চলছিল ধারাবাহিকের শুটিং। এবার তা শেষ করতে হবে ৭০ ঘন্টায়। কারণ একটাই সেই লকডাউন। টলিপাড়ার একদিনে টানা ১৪ ঘন্টার শুটিং করেন প্রযোজক-পরিচালকরা। এবার বেজায় সমস্যায় পড়েছেন সকল কলাকুশলীরা।
করোনার কড়াল থাবা পড়েছে জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো-'দাদাগিরি'-তে। এই নিয়ে তিনবার শুটিংয়ের তারিখ পিছানো হল 'দাদাগিরি'র। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলির দাদা স্নেহাশিস গাঙ্গুলি। আর যার কারণে সকলের প্রিয় দাদা সৌরভ গাঙ্গুলি আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছে। আর এই কারণের জন্য শুক্রবার শুটিং শুরু না হওয়ায় আগামী রবিবার 'দাদাগিরি' নতুন এপিসোড সম্প্রচার করা হবে না। নিয়মমতো লকডাউনে বন্ধ ছিল টলিপাড়ার শ্যুটিংও। আনলক পর্বে ধীরে ধীরে তা ছন্দে ফিরেছে। কিন্তু তাতেও শান্তি নেই। 'দাদাগিরি' বন্ধ হওয়ার ফলে সপ্তাহে সাতদিন নতুন পর্ব ঠিক দেখানো হবে বলেই ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল ২৫ টি ধারাবাহিকের মদ্যে ৭৫ শতাংশ ধারাবাহিকেরই কোনও ব্যাঙ্কিং নেই।
আনলক পর্বে চলবে সপ্তাহে টানা দুদিন কড়া লকডাউন। ৭ দিনের মধ্যে ২ দিন বন্ধ থাকবে শুটিংয়ের কাজ। প্রতি সপ্তাহে দু-দিনের লকডাউনই ঘুম কেড়ে নিল টলিউডের। তারপর আবার আনলক পর্বে কাজ শুরু হতেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিনেতারা। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ঘুম উড়েছে টলিপাড়ার। এদিকে লকডাউনে পাঁচটি নতুন ধারাবাহিকও শুরু হয়েছে। নতুন ধারবাহিকে শুটিংয়ের সময়টাও বেশি দরকার। সেটাতেও বাধা হয়ে দাঁড়াল এই দু-দিনের লকডাউন।