বিধানসভা নির্বাচন প্রায় শেষের পথে। আর একদফা নির্বাচনের পরই ভাগ্য নির্ধারণ হবে। ইতিমধ্যেই বিজেপি-তে যোগ দিয়েই হুগলির চন্ডিতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট পেয়েছেন তরুণ সৈনিক তথা টলি অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত । প্রার্থী হওয়ারও টিকিট পেয়েই কয়েকদিনের মধ্যেই চন্ডীতলায় যেন ঘরের ছেলে হয়ে গেছেন যশ দাশগুপ্ত। বিজেপি যোগ দেওয়ার মাত্র একমাসের মধ্যেই বেশ দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন অভিনেতা।
সময়টা বেশ ভালই যাচ্ছে। গত দুবছরে সিনেমার রেটিংও খুব ভাল। ভোটযুদ্ধের লড়াইয়ে বাইক নিয়ে নিজের এলাকায় বেরিয়ে মানুষের সমস্যার কথা ঘরে ঘরে গিয়ে জানতেও চেয়েছেন অভিনেতা। তারপরেই নানা অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছেন অভিনেতা। তবে তিনি একা নন, তারকাপ্রার্থীদের একাংশ রাজনীতিতে আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের কটাক্ষ ভরে গিয়েছে। এবার নেটিজেনদের একহাত নিয়ে নানা অভিযোগের জবাব দিলেন যশ। সম্প্রতি নিজের টুইটারে লম্বা টুইট পোস্টে নিজের বক্তব্যকে তুলে ধরেছেন যশ।
টুইটারে যশ জানিয়েছেন,' এইসময়টাতে সকলেরই সবার পাশে থাকা উচিত। এবং আমার লক্ষ্য অনেকের থেকেই আলাদা। প্রত্যেকেই নিজের বেস্টটা দিয়ে কাজ করছে। ছোট হোক কিংবা বড় সবটাই ভালভাবে করার চেষ্টা করছে। কেউ কাউকে দোষ না নিয়ে ঝামেলায় না জড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে থেকে কাজ করা উচিত। সকলকেই শান্তিপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন যশ'।
বিজেপিতে যোগ দিতে না দিতেই টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল যশের বিরুদ্ধে। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল, মোটা টাকার বিনিময়ে নাকি বিজেপি যোগদান করেছেন অভিনেতা যশ।যদিও চুপ থাকার ছেলে তিনি নন, সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে পাল্টা ফুঁসে উঠেছিলেন যশ। যশ সাফ জানিয়েছিলেন, দল থেকে কোনও টাকা পেয়েছি প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু যারা আমার টাকা নিয়ে অভিযোগ আনছে তাদের নিজেদের ব্যাঙ্ক ডিটেলস পাঠানোর সাহস আছে । বিজেপিতে যোগ দিতে না দিতেই সুরবদল হয়েছে অভিনেতা যশের। বিজেপিতে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই নিজের ইনস্টা পোস্টে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি কথা নয়, কাজের মাধ্যমেই নিজেকে প্রমাণ করবেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েই যশ জানিয়েছিলেন, এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া নয়। যেহেতু আমার নিজের বয়স কম তাই তরুণ প্রজন্মই আমার মূল লক্ষ। কারণ বিজেপি সবসময়েই তরুণ প্রজন্মের উপর জোর দিয়েছে। রাজনীতি মানেই পরিবর্তন দরকার। আর পরিবর্তন মানেই সিস্টেমের মধ্যে কাজ করা।