পাইলটের হার্ট অ্যাটাক, পাইলটের আসনে বসে প্লেন চালাল তিতলি। আজ পর্যন্ত যারা এই 'তিতলি' ধারাবাহিকের সম্বন্ধে কোনও জ্ঞানই রাখত না, আজ তারাও এই ধারাবাহিকের প্লট নিয়ে শুরু করেছে কাটাছেড়া। কানে শুনতে না পাওয়া তিতলি বরের লিপ রিড করেই চালাল প্লেন। তার উপর তিতলির কোর্সও নাকি এখনও শেষ হয়নি। যাত্রীর আসন ছেড়ে ককপিটে কোনও বাধানিষেধ ছাড়াই গিয়ে সেছে সে, সঙ্গে তার বরও রয়েছে, যে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখল। এই ভাবেই প্লেন চালাল তিতলি।
দর্শকমহল ধারাবাহিকটির এই প্লট দেখে হাসবে না কাঁদবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্লিপটি ভাইরাল হওয়ার পরই শুরু হয়েছে চূড়ান্ত ট্রোলিং। লেখক গাঁজা সেবন করেন কি না সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলছে নেটিজেনরা। এবার রক্ষা পেলেন না ধারাবাহিকের অভিনেত্রী মধুপ্রিয়া চৌধুরী। যিনি তিতলির ভূমিকায় অভিনয় করছেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যান্ডেলে গিয়ে ট্রোল করা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুনঃপ্রেমে পড়েই উদযাপন মধুমিতার, ফ্ল্যাট অ্যাবসে ধরা দিয়ে এক তীরে দুই নিশানা
অবশ্য মধুপ্রিয়াও দমে যাওয়ার মেয়ে নন। তিনি পেশাগত ভাবে যে কাজটি করছেন তার জন্য কেন দায়ী করা হবে মধুপ্রিয়াকে। দাবি তাঁর ভক্তদের। চবে নাছোড়বান্দা ট্রোলাররা। মধুপ্রিয়াকে যারা চিনত পর্যন্ত না, তারা তাঁর পরিচয় খুঁজে বের করে, মধুপ্রিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে গিয়ে ট্রোল করছেন। সম্প্রতি সেই নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন মধুপ্রিয়া। এমনই অনুমান নেটিজেনদের। পোস্টে লেখা, "এক সময় একটি আমি খুব মিষ্টি এবং সাধারণ মেয়ে ছিলাম তারপরই সব ধ্বংস হয়ে গেল।"
নিজেকেই ইনোসেন্ট থেকে ডেভিলের রূপ দিয়েছেন তিনি। খানিকটি গুড গার্ল গন ব্যাডের মত। অর্থাৎ একটি মেয়ের সরলতার সুযোগ যদি সমাজ নেয়, তবে সেও নিজেকে আর বেশিদিন ঠিক রাখতে পারে না। রণমূর্তি ধারণ করতে স্বল্প সময় লাগে যেকোনও মেয়েদের। মধুপ্রিয়াও নিজের সরলতার খোলস ছেড়ে এখন 'স্যাভেজ' রূপী হয়ে উঠেছেন। এই পোস্টের মাধ্যমেই কি ট্রোলারদের যোগ্য জবাব দিলেন তিনি।