সদ্যই করোনার মারণ থাবা কাটিয়ে উঠেছেন বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। কোটি কোটি ভক্তের প্রার্থনায় এবং চিকিৎসকদেক প্রচেষ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বিগ বি। আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও চার দেওয়ালের মধ্যে রেহাই মেলে নি বিগ বির। করোনাকে হারিয়েই 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'র শুটিংয়ে ফিরছেন বিগ বি।
জুলাই মাসে করোনা আক্রান্ত হন বিগ বি। খবর শোনা মাত্রই রাতের ঘুম উড়েছিল ভক্তদের। প্রায় ২০ দিন হাসাপাতালে ভর্তি ছিলেন শাহেনশা। করোনা যুদ্ধেও সাফল্যের সঙ্গে জয়ী হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৭ বছর বয়সী অ্যাংরি ইয়াংম্যান। এবার করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন বিগ বি নিজেই । 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'র শ্যুটিং চলাকালীন এক প্রতিযোগী প্রশ্ন করেন অমিতাভকে, তারপরেই নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন অভিনেতা।
করোনা আক্রান্ত হয়ে কীভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেন সেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অমিতাভ। অমিতাভ জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে যখন ভর্তি ছিলেন, সেইসময় প্রতি ২ঘণ্টা অন্তর তার শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা মাপা হত, এবং তা প্রয়োজনের তুলানায় কমে গেলে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিত নার্সিং স্টাফরা। সেই সময়েই নার্সরা অমিতাভকে অক্সিমিটার রিডিং চেকাপ কীভাবে মাপা হয় তা বুঝিয়েছিলেন। সুস্থ হতে হলে অক্সিমিটার রিডিং-এর মাপ থাকতে হবে ৯৮। তবে প্রতিবারই চেকাপের সময় রিডিংয়ের মাত্রা দেখাত ৯২-৯৩। তখনই অমিতাভ মনে মনে ঠিক করেন যখনই তার চেকআপ করা হবে তখনই তিনি জোরে জোরে শ্বাস প্রশ্বাস নেবেন, যার ফলে অক্সিমিটারের রিডিং বেড়ে ৯৮ হয়ে যাবে। এবং প্রতিবারই চেক আপের সময় এটা যখনই তিনি করতেন নার্সিং স্টাফ এবং তিনি হেসে ফেলতেন।
লকডাউন চলাকালীনই 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'র কাজ শুরু করেছিলেন অমিতাভ। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরই তাতে ছেদ পড়ছিল। তারপর সুস্থ হয়েই সমস্ত রকমের সাবধানতা ও বিধিনিষেধ এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই কাজ শুরু করেছেন কেবিসি-র শুটে। উল্লেখ্য, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়েই অমিতাভ, অভিষেক, ঐশ্বর্য ও আরাধ্যা- বচ্চন পরিবারের চার সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রায় ২০ দিন মুম্বইয়ের লীলাবতি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিগ বি, অভিষেককে আরও বেশিদিন থাকতে হয়েছিল হাসপাতালে। এখন সকলেই সুস্থ আছেন।