চলে গেলেন ঋষি কাপুর
মানুষকে অকৃত্রিমভাবে ভালোবাসার ক্ষমতা ছিল তাঁর
হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও ফেরাননি জনৈক তরুণকে
অসুস্থ শরীরে তাঁর গান শুনে কী বলেছিলেন অভিনেতা
ঋষি কাপুরের প্রয়াণে যে শুধু চলচ্চিত্র জগৎ শোকাহত, তাই নয়, শোকের ছায়া রুপোলি পর্দা ছাপিয়ে অনেকদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। আসলে, প্রায় সকলেই বলছেন বলিউডের 'ফার্স্ট ফ্যামিলি' অর্থাৎ কাপুর পরিবারের সদস্য হয়েও ঋষি ছিলেন অনেকটাই মাটির মানুষ। দিলখোলা ভাবে মিশতে পারতেন সকলের সঙ্গে। প্রজন্মগত দূরত্ব হোক কিংবা অবস্থাগত দূরত্ব, তাঁর রসিক স্বভাবে সবই ঘুচে যেত। প্রয়ান দিবসেও এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হল, যেখানে ঋষির এই যে কোনও মানুষকে অকৃত্রিম ভালোবাসা বিলিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা ফের একবার প্রকাশ পেল।
ভিডিওটি ঠিক কবেকার, কিংবা কোথাকার - কিছুই জানা যায়নি। তবে গত দুই বছরের মধ্যেই কোনও এক সময়ে তোলা। হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। মুখের অভিব্যক্তিতে স্পষ্ট, তাঁর শারীরিক অস্বস্তি রয়েছে। কথা বলতে গিয়ে শ্বাসকষ্টও হতে দেখা গিয়েছে। আর এক তরুণ সেলফি মোডে মোবাইল ক্যামেরা ধরে গান গেয়ে শোনাচ্ছেন তাঁকে, 'তেরে দর্দ সে দিল আবাদ রাহা'।
১৯৯২ সালে কেরিয়ারের প্রথমার্ধের প্রায় শেষ লগ্নে অভিনয় করেছিলেন 'দিওয়ানা' ছবিতে। সেই চলচ্চিত্রেরই গান। ওই ছবিতে তাঁর সঙ্গে রূপোলী পর্দা ভাগ করে নিয়েছিলেন শাহরুখ খান ও দিব্যা ভারতী। সেই ছবিরই কুমার শানুর কন্ঠে এই বেদনাতুর গানটি ছিল। সেই গানই গেয়ে শোনান ওই তরুণ।
গানটি শুনতে শুনতে আবেগে চিন্টুজির চোখ দিয়ে জলও বেরিয়ে আসে। রুমাল দিয়ে তিনি মুছে নিতে নিতেই ওই তরুণের গানের তারিফ করেন। গান শেষ হলে তাঁর মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন ঋষি কাপুর। সে যাতে সফল হয়, সেই কামনা করেন। আর সেই সঙ্গে তাঁকে দিয়ে যান সাফল্যের মূল মন্ত্র। তা হল পরিশ্রম। তিনি ওই তরুণকে বলেন, পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। অনেকটা পরিশ্রম আর তার সঙ্গে একটু ভাগ্য়ের সহায়তা পেলেই খ্যাতি, নাম, অর্থ সব আসবে।