মাদক চক্রে জড়িত শুধু নয়- অর্থ লেনদেনেরও অভিযোগ, রিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ বিচারকের

  • সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্য়ুর পর কেটে গিয়েছে ৮০ দিন
  • এই জটিল মৃত্যু রহস্যে গ্রেফতার হলেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী
  • সুশান্তের একটা সময়ের লিভ-ইন পার্টনার ছিলেন তিনি 
  • অভিযোগ, এই সময়ে তিনি সুশান্তকে মাদকের নেশায় জড়িয়ে দেন
     

Asianet News Bangla | Published : Sep 8, 2020 5:12 PM IST / Updated: Sep 09 2020, 11:51 AM IST

মাদক চক্রে জড়িত থাকার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আর সেই কারণেই রিয়া চক্রবর্তী-কে এখনই এখনই জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। এতে মামলার ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে বলে মনে করছেন বিচারক। এই কারণেই খারিজ হয়ে গেল রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন। ফলে, রিয়া-কে আপাতত ১৪ দিনের জন্য জেলেই থাকতে হবে। ২১ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে তোলা হবে রিয়া-কে। যদিও, রিয়ার কাছে এখনও জামিনের আবেদনের সুযোগ থাকছে। তাঁর জামিনের জন্য আইনজীবী কোনও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। এমনকী, সেশন কোর্টেও আবেদনের সুযোগ রয়েছে রিয়া চক্রবর্তীর সামনে। 

রিয়াকে বাইকুলা জেলে পাঠানো হবে। তবে, মঙ্গলবার রাতটা তাঁকে এনসিবি লকআপে-ই কাটাতে হবে। সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। বুধবার সকালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে বাইকুলার জেলে। এনসিবি এদিনের ভার্চুয়াল শুনানিতে জানিয়ে দেয়, রিয়া তদন্তে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু, এই মুহূর্তে তিনি মুক্ত মানুষের মতো ঘুরে বেড়ালে এই মামলার বহু গুরুত্বুপূর্ণ প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তাঁকে হেফাজতে রাখাটা উচিত। এনসিবি-র আইনজীবীর এমন অবস্থান জানার পর বিচারক আর দেরি করেননি। কারণ রিয়ার বিরুদ্ধে যে সব ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে তা খুবই মারাত্মক। এহেন অভিযোগে অভিযুক্তকে জামিনে বাইরে রাখাটা ঝুঁকি হয়ে যায়। তাই জেল হেফাজতই আপাতত ঠিকানা হচ্ছে বলিউড অভিনেত্রীর। 

মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতারির পর রিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর মেডিক্যাল চেকআপ করা হয়। হয় কোভিড টেস্ট। রিয়ার শরীরে এমন কোনও অসুস্থতা পাওয়া যায়নি যাতে তাঁকে মেডিক্যাল ট্রিটমেন্টে রাখতে হয়। এমনকী কোভিড ১৯ পরীক্ষার ফলও নেগেটিভ আসে। এরপরই রিয়া-কে বালাডে এনসিবি-র দফতরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সন্ধে ৬টার কিছু পরে। সেখানে রাত ৯.৩০টার পরে ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয় স্পেশাল কোর্টে। রিয়ার আইনজীবীও ভার্চুয়াল এই শুনানিতে অংশ নেন। এনসিবি-র আইনজীবী জানান, রিয়াকে তারা নিজেদের হেফাজতে চাইছেন না। তাঁর কাছ থেকে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। রিয়া নিজেও স্বীকার করেছেন যে তিনি সুশান্ত সিং রাজপুত-এর জন্য মাদক চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং লাগাতার মাদক আনিয়েছেন। সুতরাং, এদিক থেকে রিয়া নিজের সঙ্গে মাদক চক্রের যোগ থাকার কথা অস্বীকার করেননি। মাদক আইন অনুযায়ী এটা অপরাধ। তাই রিয়াকে আপাতত হেফাজতেই রাখতে হবে। তবে, বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রিয়া-কে রাখলেও এনসিবি-র অসুবিধা নেই। এনসিবি-র এমন অবস্থান জানার পর বিচারক রিয়াকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

Share this article
click me!