এক সুতোয় বাঁধা দুই ঘরানার তামান্না-রাধে, এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ঋত্বিক ও শ্রেয়া

  • সুর বেঁধেছে রাধে-তামান্নার জীবনকে
  • পপ তারকার সঙ্গে শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পীর মিলন
  • আসছে 'বন্দিশ ব্যান্ডিটস'-এ মুগ্ধ সংগীত থেকে বিনোদনপ্রেমীরা
  • এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কী কী বললেন ঋত্বিক-শ্রেয়া, জেনে নিন 

গানে গানে মিলেছে দুই ভিন্ন মানুষের জীবন। রাধে এবং তামান্না। রাঠোর ঘরানার সংগীতে নিজেকে মত্ত রেখেছে রাধে, অন্যদিকে জনমানবের ভিড়ে পপ তারকা হয়ে উঠেছে তামান্না। শাস্ত্রীয় সংগীত এবং পপ গানের মিলনেই তৈরি হল 'বন্দিশ ব্যান্ডিটস'। অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর অরিজিনাল সিরিজ 'বন্দিশ ব্যান্ডিটস' মুক্তি পেতেই জয়জয়কার দর্শকমহলে। রাধে এবং তামান্নার এই বন্দিশেই নতুন গল্পের স্বাধ চেখে দেখল বিনোদনপ্রেমীরা। সিরিজে নিজেদের অভিনয় ক্ষমতায় ইতিমধ্যে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ঋত্বিক ভৌমিক এবং শ্রেয়া চৌধুরী। এই মিউজিকাল-ড্রামা সিরিজের সংগীত পরিচালনায় ছিলেন শঙ্কর, এহসান এবং লয়। তাঁদের সুরে নেটিজেনরা চেয়ে বসেছে গানের সাউন্ডট্র্যাক। মিউজিক্যাল ড্রামায় প্রশংসা পেতেই কীভাবে সেলিব্রেট করছেন ঋত্বিক এবং শ্রেয়া, জানালেন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার প্রতিনিধি অদ্রিকা দাসকে। এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বেরিয়ে এল নানা কথা। 

 

Latest Videos

 

অদ্রিকাঃ হ্যালো রাধে, হ্যালো তামান্না! এই দু'টি নামে আপনাদের ডাকা ছাড়া কোনও উপায় নেই। দর্শক চায় না 'বন্দিশ ব্যান্ডিটস'র এই চরিত্র দু'টি থেকে আপনারা বেরিয়ে আসুন।
ঋত্বিক এবং শ্রেয়াঃ (হেঁসে) অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ভালবাসাটা যে সকলের থেকে পাব ভাবতেই পারিনি। ভীষণ, ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। সকলের মেসেজ পেয়ে আমাদের খুশির অন্ত নেই। তামান্না এবং রাধের জন্য যে এত ভালবাসা পাব সত্যি আশা করিনি। কেবল ভারতেই নয়, গোটা বিশ্বে যেভাবে সিরিজটি ছড়িয়ে পড়ছে তা একেবারে স্বপ্নের মত। 
ঋত্বিকঃ তুমি যদি মন থেকে কিছু করো, তাহলে ভাল ফল পাবেই। পেতে বাধ্য। 

অদ্রিকাঃ দর্শকের মুখে এখন কেবল একটাই কথা। দ্বিতীয় সিজন কবে আসবে। আপনারা সেই বিষয় কোনও ইঙ্গিত দিতে চান?
ঋত্বিকঃ আমি শুধু একটাই কথা বলতে চাই, যদি সকলে সত্যিই দ্বিতীয় সিজনের জন্য ব্যকুল হয়ে থাকে তাহলে ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটার পেজে গিয়ে বার বার জিজ্ঞেস করতে হবে দ্বিতীয় সিজন কবে আসবে (ঠাট্টার ছলে)। ভাইরাল করে দাও। যতক্ষণ না নির্মাতারা শুনছে। 

অদ্রিকাঃ 'ডিয়ার মায়া' ছবির ইরা থেকে 'বন্দিশ ব্যান্ডিটস'র তামান্নার শর্মার যাত্রা কেমন ছিল?
শ্রেয়াঃ অস্বাভাবিক। 'ডিয়ার মায়া'র পরিচালক সুনয়না ভাটনাগর হোক কিংবা ইমতিয়াজ আলির শর্ট ফিল্ম হোক, এখন 'বন্দিশ ব্যান্ডিটস'র পরিচালক আনন্দ তিওয়ারি, আমার কাছে সবটাই স্বপ্নের মত। এমন তাবড় পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। প্রতিটি অভিজ্ঞতাই আমায় ভীষণ সাহায্য করেছে। আমি অভিনয়ে অনেকখানি উন্নতি এসেছে। ইরার চরিত্রটি একটি ১৬ বছর বয়সী মেয়ের, তখন আমি সবেমাত্র কলেজ শেষ করেছি। আমার চোখে সর্বদা অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছিল। 'ডিয়ার মায়া' আমার প্রথম ফিচার ফিল্ম। আমার আত্মবিশ্বাস তখনই একটু একটু করে বাড়তে থাকে। এখন তামান্নার চরিত্রেও ভিন্ন শেডসে অভিনয় করে আমি খুব খুশি। এই যাত্রাটা চলতে থাকুক এটাই আশা করছি।

 

 

অদ্রিকাঃ 'ধূসর', 'অফিস', এখন 'বন্দিশ ব্যান্ডিটস', এই ভিন্ন চরিত্রগুলির যাত্রাটা কেমন আপনার কাছে?
ঋত্বিকঃ যাত্রা তো দূর্দান্ত ছিল। ছিল নয়, খুবই ভাল ছিল। প্রতিটি চরিত্র থেকে আমি কিছু না কিছু শিখেছি। প্রতিটি যাত্রা থেকেই অনেক কিছু শেখার ছিল। আমি কোনও ল্যান্ডিং চাই না। আমি চাই এখান থেকেই আমার টেক অফ হোক। আশা করছি ভবিষ্যতে আরও সুন্দর কাজের প্রস্তাব আসবে, মানুষের ভালবাসা, প্রশংসা পাব। আমি আরও মন দিয়ে কাজ করে যেতে চাই। 

অদ্রিকাঃ সবচেয়ে বড় বিষয় হল, জেন ওয়াই এবং জেন এক্সের অধিকাংশ ছেলে-মেয়ে আপনাদের এই প্রেমের কাহিনি, এই সংগীতযাত্রার সঙ্গে রিলেট করছে, নতুন চিত্রনাট্য পেয়ে তারা মুগ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথা ব্যক্তও করছে, এই বিষয় ভাবলে কেমন লাগে? 
শ্রেয়াঃ প্রথমত 'বন্দিশ ব্যান্ডিটস'র কনটেন্ট একেবারে নতুন। এই নতুন বিষয়ের একটা অংশ হতে পেরেই আমি ভীষণ খুশি। বিনোদন মানেই একটা গল্পকে তুলে ধরাটাই আসল মোটিভ। সকলে রিলেট করছে এটাই অনেক। 
ঋত্বিকঃ সেটাই। সকলে যে রিলেট করছে এর থেকে ভাল কিছু হতেই পারে না। এটাই বড় পাওয়া। তামান্না এবং শ্রেয়ার প্রেমকাহিনির সঙ্গে যে সকলে রিলেট করতে পেরেছে তা একমাত্র পরিচালকদের জন্যই সম্ভব হয়েছে। এমনকি চিত্রনাট্যটিও যেভাবে লেখা হয়েছে তাতে দর্শক মুগ্ধ হবেই। এখানে আমার এবং শ্রেয়ার ক্রেডিট অত্যন্ত কম। নির্মাতাদেরই বেশি।

অদ্রিকাঃ নাসিরুদ্দিন শাহ, অতুল কুলকার্নি, শিবা চাড্ডা, রাজেশ তাইলাংয়ের মত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
ঋত্বিকঃ ওনাদের কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। এত তাবড় অভিনেতা, অভিনেত্রী অথচ সেটে কোনও গাম্ভীর্য ছিল না। খুব সহজেই আমরা ওনাদের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছিলাম।
শ্রেয়াঃ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় হাইলাইটের মধ্যে একটা হল 'বন্দিশ ব্যান্ডিটস'-এ এমন তাবড় তাবড় অভিনেতা, অভিনেত্রীদের কাজ করা। সারাজীবনে এমন সুযোগ একবারই হয়তো পাওয়া যায়। ওনাদের প্রতিদিন শ্যুটিং ফ্লোরে দেখা, ওনাদের অভিনয় কাছ থেকে একটা অদ্ভুত সুন্দর অভিজ্ঞতা ছিল।   

 

 

অদ্রিকাঃ সবচেয়ে বেশি দর্শক প্রশংসা করেছে আপনাদের লিপসিঙ্কের। এতটা স্বাভাবিক লিপসিঙ্ক কীভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুললেন?
ঋত্বিকঃ আমাদের সিরিজের একজন জিনিয়াস অক্ষত পারেখের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। উনি আমাদের যেভাবে ট্রেন করেছেন তাতে লিপসিঙ্ক পর্দায় স্বাভাবিক দেখানো সম্ভব হয়েছে। উনি আমাদের মিউজিকাল কোচ ছিলেন। তিন মাস ধরে আমাদের ট্রেনিং চলেছিল। শ্যুটিং সেটে উনি প্রতিদিন ছিলেন। যাতে আমাদের কোনও দৃশ্য ন্যূনতম ভুলও না হয়। ক্লাসিকাল নোটস পর্যন্ত কীভাবে ধরতে হবে সব শিখিয়েছেন তিনি। 
শ্রেয়াঃ বিজয় গঙ্গোপাধ্যায় তামান্নার কনসার্টগুলি কোরিওগ্রাফ করেন। তিনিও অক্ষতের মত আমাদের সাহায্য করেন। প্রায় হাত ধরে শিখিয়েছেন প্রতিটি জিনিস। যেখানে বছরের পর বছর প্রয়োজন হয় সংগীতের তালিম নিয়ে সেখানে আমার সুপারভাইজাররা বিভিন্ন জিনস শিখিয়েছেন। তাঁদের কারণেই আমরা দর্শকদের মুগ্ধ করতে পেরেছি। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'মমতার দশা কেজরিওয়াল-এর মত করব' বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari | BJP vs TMC |
"এবার রোহিতের জায়গায় সৌগতকে নামাতে হবে", চরম কটাক্ষ মদন মিত্রের | Madan Mitra on Saugata Roy
‘Hindu-দের দোকান ভাঙবেন পোড়াবেন এই অধিকার কে দিয়েছে!’ তীব্র হুঙ্কার Suvendu Adhikari-র
‘JNU-এর মতো JU-কেও ঠান্ডা করব!’ Jadavpur ইস্যুতে Mamata Banerjee-কে হুঁশিয়ারি Agnimitra Paul-এর
'জনগণ মমতাকে চ্যাংদোলা করে বাইরে ফেলবে' বিস্ফোরক শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | Bangla News Today