'কবীর সিং' ছবি ঘিরে নয়া বিপত্তি, ছবিতে নাকি ডাক্তারদের ভাবমূর্তি খুণ্ণ হচ্ছে। এমনটাই দাবী ডাক্তারদের একাংশের। মহারাষ্ট্রের ডাক্তাররা এই নিয়ে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে। তদের অভিযোগ ছবির চিত্রনাট্যে ডাক্তারদের খাটো করে দেখানো হয়েছে । তাই সত্বর 'কবীর সিং'-এর প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে। এই নিয়েই এখন তোলপাড় মহারাষ্ট্র। কেন এমন আপত্তি? ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা জানিয়েছন- মদ্যপ অবস্থায় অপারেশন করা, ডাক্তারদের দায় এড়িয়ে যাওয়ার মতন সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে ছবিতে, যার ফলে সাধারণ মানুষের ডাক্তারদের প্রতি আস্থা হারাতে পারে।
ছবিতে ঠিক কী দেখানো হয়েছিল তা একবার জেনে নেওয়া যাক। শাহিদ কাপুর মানে কবীর সিং, তিনি ডাক্তারি পাঠরত একজন ছাত্র। খেলাধূলো থেকে পড়াশোনা সবেতেই চৌখস তিনি। মেডিক্যাল কলেজে সমস্ত মেয়ের হার্টথ্রব কবীর সিং। বিশেষ করে তাঁর ডোন্ট-কেয়ার আচরণ মহিলাদের প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। কবীর সিং তাঁর সম্পর্কে এই ধারনাগুলোকে ভালোভাবেই উপভোগ করে। আর এই ধারনার সঙ্গে সঙ্গে কবীর সিং মনে করে মেডিক্যাল কলেজে তাঁর থেকে রাফ অ্যান্ড টাফ কেউ নেই। পড়াশোনা, খেলাধূলো-র সঙ্গে সঙ্গে কলেজে মস্তানি, মাদক সেবনেও ভালোই নাম করে নেয় কবীর। এমনকী, সহপাঠীনীর বাবার সামনেও ডোন্টকেয়ার আচরণে কবীর বুঝিয়ে দেয় সে কতটা উচ্ছশ্ঙ্খল। আসলে বিশেষ একজন মানুষ ছাড়া আর কোনও গুরুজনকে সম্মান দেওয়াটা কবীর সিং ,তার ডিকশানারিতে রাখেনি।
নিজেকে নিয়ে কবীর কতটা অবসেড সেটাই এই ছবির ছত্রে ছত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এমনকী প্রেমিকার বাবা-মা-র সামনেও নিজের এই উচ্ছশৃঙ্খলতার প্রমাণ দেয় কবীর। পরিণামে জীবন থেকে প্রেমিকাকে হারিয়ে ফেলে। এতে আরও বেশি করে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে সে। দিন-রাত মদ পান করাটা সে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলে। সার্জেন হিসাবে কবীর বিশাল নাম করলেও তার আচরণ সকলকে তটস্থ করে রাখে। মদ্যপ অবস্থায় অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে তার হাতে মৃত্যু হয় রোগীর।
মহারাষ্ট্রের চিকিৎসকমহলের অভিযোগ, যে ভাবে কবীর সিং চরিত্রটিকে তুলে ধরা হয়েছে তাতে চিকিৎসা পরিষেবার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। চিকিৎসকদের সম্পর্কে রোগীদের বিরূপ ধারনা জোগাতে এই ছবি ইন্ধন জোগাবে বলেও মত তাঁদের। সবচেয়ে বড় কথা মদ্যপ অবস্থায় অস্ত্রোপচার-এর তত্ত্ব এই বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা মানতে চাননি। আর সেই কারণেই 'কবীর সিং'-এর প্রদর্শন নিয়ে এত আপত্তি এইসব চিকিৎসকদের।