সলমন খানের বিরুদ্ধে একের পর এক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরে গিয়েছে নিন্দায়। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সাইবারবাসীরা। কমল আর খানের ট্যুইটের জেরে জানা গিয়েছিল, সুশান্ত সিং রাজপুতকে ব্যান করেছিলেন সলমন খান সহ বলিউডের এ লিস্টেড পরিচালক-প্রযোজকরা। অন্যদিকে সুশান্তের মানসিক অবসাদ নিয়ে এখন চর্চায় ভরে গিয়েছে চারিদিক। এই কারণেই সলমনকে দোষী হিসেবে গণ্য করে চলেছে দেশের একাধিক মানুষ। এমনকি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ভক্তরাও। ইতিমধ্যেই সলমনের পাশে এসে দাঁড়ালেন ফেডেরেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লইসের প্রেসিডেন্ট বি এন তিওয়ারি। তাঁর কথায়, সলমন তাঁর পাশে এসে না দাঁড়ালে, আজ তাঁর পরিবার ভেসে যেত।
আরও পড়ুনঃমনামীর স্লো মোশনে 'নীল বৃষ্টি', চোখ ধাঁধালো সাইবারবাসীর
লকডাউনের কারণে দেশের আর্থিক অবস্থার চূড়ান্ত ক্ষতি হয়েছে। নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকলেই কমবেশি আর্থিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। সলমন খান সেই সময় থেকে ক্রমাগত খাবার ও আর্থিক সাহায্য করে গিয়েছেন দরিদ্র মানুষদের। বিপদের সময় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য সলমনের নাম শীর্ষে উঠে আসে। বি এন তিওয়ারি এই বিষ জানান, "আমরা ওনাকে 'ফেডেরেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লইস'-এর পঁচিশ হাজার কর্মচারীর একটি তালিকা দিয়েছিলামা। তিনি তাদের প্রত্যেককে ইনস্টলমেন্টে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন যাতে কেউ সেই টাকার অপব্যবহার না করে। ওনার কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ। উনি না থাকলে আমরা এবং আমাদের পরিবার কোথায় ভেসে যেতাম জানি না।"
কেবল 'ফেডেরেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লইস'-এর পঁচিশ হাজার কর্মচারীকেই নয় সলমন নিজের পানভেলের ফার্মহাউজের আসপাশের গ্রামেও খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মুম্বই পুলিশকে এক লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতলও দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। এই সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যেখানে অত্যন্ত দুর্লভ হয়ে উঠেছে। পানভেলের ফার্মহাউজেই আছেন তিনি। তবুও চারিদিকে খেয়াল রয়েছে তাঁর। যথাসম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তিনি। করোনা মোকাবিলায় দেশের পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে তাঁর চ্যারিটিকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বিফলে গেল। সকল ভক্তরা যেভাবে মুখ ফেরাতে শুরু করেছে তাতে অন্তত তাই মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি মুম্বইয়ের বান্দ্রার বিং হিউমান স্টোরের সামনে 'সলমন মুর্দাবাদ' স্লোগান দিয়ে চলেছিল প্রতিবাদ মিছিল।