সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে বিয়ে সুখকর হয়নি করিশ্মার। করিশ্মা কাপুরের বৈবাহিক জীবনে যে প্রচুর ঝড় বয়ে গিয়েছে তা হয়তো অনেকেরই জানা। স্বামী থেকে শুরু করে পরিবারের সকলেই তাঁকে কোনও দিনই সন্মান কিংবা স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পারেনি।
রণধীর কাপুর ও ববিতা কাপুরের বড় মেয়ে করিশ্মার ব্যক্তিগত জীবনটা মোটেই সুখকর নয়। অমিতাভ পুত্র অভিষেকের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা সকলেরই জানা। বচ্চন পরিবারের গৃহবধু হিসেবে মেনেও নিয়েছিলেন করিশ্মাকে। কিন্তু তা আর হয়নি। সম্পত্তির অতিরিক্ত লোভের কারণেই অভিষেকের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল করিশ্মার। তারপরেই করিশ্মা ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন এবং অভিষেকও ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দীর্ঘদিন অভিনয় জগত থেকে দূরে থাকার পরে ফের বলিউডে ফিরে আসেন করিশ্মা। যদিও সেই ছবিও বক্স অফিসে হিট করেনি।
এবার ফের বিয়ে করছেন কিনা, সেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। করিশ্মা কাপুর সম্প্রতি তার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে একটি প্রশ্নের উত্তর দেন। অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে একটি আস্ক মি এনিথিং সেশন হোস্ট করেছিলেন যখন একজন কৌতূহলী ভক্ত তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি আবার বিয়ে করতে চান কিনা। করিশ্মা এর আগে ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেছিলেন। সেই দিনগুলোর কথা আজও ভোলেননি করিশ্মা কাপুর। তাঁর জীবনের ভুল পদক্ষেপ ছিল এই সম্পর্কে যাওয়া। কিন্তু তিনি চেষ্টা করেছিলেন সব স্বাভাবিক করার। অবশেষে এই সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসতে বাধ্য হন তিনি। ২০১৬ সালে সঞ্জয় কাপুরকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
বৃহস্পতিবার রাতে, এএমএ পর্ব চলাকালীন করিশ্মাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, "আপনি কি আবার বিয়ে করবেন?" করিশ্মা রহস্যজনকভাবে উত্তর দেন, "নির্ভর করে।" যদিও তার উত্তরটা অস্পষ্ট, তবে দ্বিতীয়বার বিয়েতে যে খুব অনিচ্ছুক তিনি, তেমনটা মনে হচ্ছে না ভক্তদের।
সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে বিয়ে সুখকর হয়নি করিশ্মার। করিশ্মা কাপুরের বৈবাহিক জীবনে যে প্রচুর ঝড় বয়ে গিয়েছে তা হয়তো অনেকেরই জানা। স্বামী থেকে শুরু করে পরিবারের সকলেই তাঁকে কোনও দিনই সন্মান কিংবা স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পারেনি। ২০০৩ সালে সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেছিলেন করিশ্মা। কেমন ছিল তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণ! স্পষ্ট করতে করিশ্মা কাপুর জানান, তিনি মধুচন্দ্রিমাতেই বুঝতে পেরেছিলেন এই সম্পর্কের পরিণতি কী হতে চলেছে। বন্ধুদের সঙ্গেই সঞ্জয় কাপুর গিয়ে ছিলেন মধুচন্দ্রিমাতে। সেখান গিয়ে অদ্ভুত পরিস্থিতির সন্মুখীন হতে হয় করিশ্মাকে। মধুচন্দ্রিমার সময় এক রাতের জন্য করিশ্মা কাপুরকে নিলামে তুলেছিলেন তাঁর স্বামী। রীতিমত চলেছিল দর কষাকষি।
সম্পুর্ণ বিষয়টিতেই ছিল করিশ্মা কাপুরের ঘোর আপত্তি। প্রতিবাদও করেছিলেন তিনি। তাতে বেড়ে যায় বচসা। শুরু হয় অশান্তি। এদিন এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গ তুলেই করিশ্মা কাপুর বলেন, সেই সময় তিনি অপ্রস্তুতে পড়ে যান। তিনি তৈরি ছিলেন না এমন পরিস্থিতির জন্য। কিন্তু তাঁর স্বামী তাঁকে বাধ্য করে অন্যের সঙ্গে রাত কাটাতে। এখানেই শেষ নয়। পাশাপাশি সঞ্জয় কাপুর তাঁর দাদাকে বলে রেখেছিলেন করিশ্মা কাপুরকে চোখে চোখে রাখতে। শুধুই অসন্মান নয়, রীতিমত গায়ে হাত তোলা হত করিশ্মা কাপুরের ওপর।