টিকটকার ফৈজল সিদ্দিকির একটি ভিডিও নিয়ে এখন বিপাকে সে। অ্যাসিড অ্যাটাক নিয়ে একটি ভিডিও বানিয়েছিল ফৈজাল। ইতিমধ্যেই তার টিকটক অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দিয়েছে টিকটক ইন্ডিয়া। অন্যদিকে ফৈজলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও এসেছে জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকে। অ্যাসিড হামলায় আক্রান্ত লক্ষ্মী অগ্রওয়াল ভিডিওটির তীব্র নিন্দা করে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, "এই ধরণের ভিডিও করে নিজেদের ক্রিয়েটার বলেন কীকরে। লজ্জা হওয়া উচিত আপনাদের। আপনি ভাবতে পারছেন এক ফোঁটা অ্যাসিড শরীরে পড়লে কী অবস্থা হয়। নিজের আঙুলে অ্যাসিড ফেলে দেখুন তারপর হয়তো বুঝবেন। আমার এই চেহারার অবস্থা অ্যাসিডের জন্যই হয়েছে। জনপ্রিয় হতে হলে ভাল কিছু করে জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা করুন।"
ফৈজল অন্যদিকে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন, "আমায় শুধু শুধু টার্গেট করা হচ্ছে। ইউটিউব ভার্সেস টিকটক শত্রুতার কারণে আমি টার্গেটেড হলাম। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আমি জল খেয়ে সেটা ছুড়ে মেরেছি মেয়েটির মুখে। অ্যাসিড কখনও কেউ খেতে পারে। আর মেয়েটি পেশাগতভাবে একজন মেকআপ আর্টিস্ট। তিনি আমার সঙ্গে একই মেকআপ নিয়ে অন্য ভিডিও করেছেন। এই ধরণের মেকআপ করে ভিডিওটি করার পিছনে কারণ অন্য ছিল। অ্যাসিড হামলার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই এর।"
নেটিজেনদের কথায়, যদি অ্যাসিড হামলার ভিডিও এটা না হয়ে থাকে, তাহলেও কি একজন মহিলার মুখে মদ, জল এভাবেই অপমান করে ছোড়া উচিত। বিপাকে পড়ে এখন নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে বলেই মনে করছে সাইবারবাসী। টিকটক ভিডিওতে যে মেয়েটি ছিল তাকে নিয়েও তীব্র নিন্দা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়। ছপাক ছবিটি লক্ষ্মী অগ্রওয়ালের জীবনের উপর আধারিত। ছবিটির প্রচারের সময় দীপিকা পাডুকোন একটি মেকআপ চ্যালেঞ্জ শুরু করেছিলেন। মেয়েটির নাম ফ্যাবি। ফ্যাবি এই মেকআপ চ্যালেঞ্জে ছপাকের লুকের মেকআপ করে চ্যালেঞ্জটি অ্যাক্সেপ্ট করে। এখন সেই মেয়েটি কেন এমন ভিডিও করেছে সেই প্রশ্নই তুলছে নেটিজেনরা।