জয় হিন্দ টুইট করায় সম্প্রতি এক পাক মহিলার বাক্যবাণের নিশানা হতে হয় প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে। প্রিয়ঙ্কাও তাঁকে যথাযথ উত্তর দেন। সেই ইভেন্টের ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়।
ওই ইভেন্টে প্রিয়ঙ্কাকে পাকিস্তানি মহিলা আয়েশা মালিক বলেন, আপনি রাষ্ট্রসঙ্ঘের গুড উইল অ্যাম্বাসাডর। শান্তির বার্তা না দিয়ে আপনি পাকিস্তানে পারমানবিক যুদ্ধের ডাক দিচ্ছেন। আমার মতো এমন বহু পাকিস্তানি আপনাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমর্থন করেছি।
এর উত্তরে প্রিয়ঙ্কা জবাব দেন, আমার পাকিস্তানে অনেক বন্ধু আছেন। আর আমি ভারতের বাসিন্দা। আমার যুদ্ধ ভালো লাগে না। কিন্তু আমি দেশপ্রেমী। তবে আমায় যাঁরা ভালোবাসেন বা ভালোবেসেছেন তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত করে থাকলে আমি সত্যিই দুঃখিত। কিন্তু আমি মনে করি প্রত্যেককেই নিজের একটা রাস্তা বেছে নিতে হয়। যে ভাবে একটা রাস্তা বেছে নিয়ে আপনি আমার কাছে এলেন। কিন্তু এভাবে চেঁচাবেন না। আমরা সবাই এখানে ভালোবাসার জন্য রয়েছি।
তবে এখানেই এই তর্জমার ইতি নয়। আয়েশা এই প্রসঙ্গে ফের একটি টুইট করেন। আয়েশা সেই টুইটে লেখেন, আমি সেই মেয়ে যার সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার বচসা হয়। প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশীদের মতো থাকা উচিত ও পরস্পরকে ভালোবাসা উচিত। ওর এই কথাগুলো শোনা সত্যি খুব কঠিন। এই পরামর্শ তোমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দাও। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই আতঙ্কে। আর এই সময়ে প্রিয়ঙ্কা পারমানবিক যুদ্ধের পক্ষে কথা বলছেন।
আয়েশা আরও বলেন, যখন ব্ল্যাকআউট হতো আমি প্রবল আতঙ্কে থাকতাম। এর জন্য আমি আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। সেই সব মনে পড়ে যাচ্ছে। তিনি (প্রিয়ঙ্কা) এমন ভাবে আমায় উত্তর দিলেন যেন আমিই একজন খারাপ মানুষ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের অ্যাম্বাসাডর হিসেবে উনি সত্যিই দায়িত্বহীন।
প্রিয়ঙ্কা সেই ইভেন্টে শান্তির বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা পরস্পরকে যত সুযোগ দেব, তত আমাদের মধ্যে ভালোবাসা তৈরি হবে। সারা বিশ্বের জনসংখ্যার মধ্যে আমরাই ৫০ শতাংশ। আমাদের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। পরস্পরকে উন্নত করতে হবে আমাদেরই।