'পুরস্কার নয়, মানুষের হৃদয়ে জায়গা করাই ছিল মূল লক্ষ্য', গানে গানে জন্মবার্ষিকীতে ফিরে দেখা কেকে-কে

২৩ আগস্ট, আজ সেই বিশেষ দিন। শুভ জন্মদিন সদ্য প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে-র। বেঁচে থাকলে আজ ৫8-তে পা দিতেন গায়ক। তিনি আর নেই, তবে কাল সীমানার গন্ডি পেরিয়েও তিনি অবিস্মরণীয়। তার  সৃষ্টির মধ্য দিয়েই তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন। তার মৃত্যু যে  ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অপূরণীয় ক্ষতি তা সকলেই মনে করেন। যার মৃত্যু গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে মুহূর্তের মধ্যে। বিনোদন জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র কেকে-র জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছায় ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা। 

২৩ আগস্ট, আজ সেই বিশেষ দিন। শুভ জন্মদিন সদ্য প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে-র। বেঁচে থাকলে আজ ৫8-তে পা দিতেন গায়ক। তিনি আর নেই, তবে কাল সীমানার গন্ডি পেরিয়েও তিনি অবিস্মরণীয়। তার  সৃষ্টির মধ্য দিয়েই তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন। তার মৃত্যু যে  ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অপূরণীয় ক্ষতি তা সকলেই মনে করেন। যার মৃত্যু গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে মুহূর্তের মধ্যে। বিনোদন জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র কেকে-র জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছায় ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা। ঘড়ির কাটা ১২ টা পেরোতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার বন্যা। প্রিয় গায়ককে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভক্তরা। 

১৯৬৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে।  তার সুরেলা কন্ঠস্বরই সকলের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন। তবে কন্ঠের পাশাপাশি তার ব্যক্তিত্বও সকলের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিল। কলেজে ৬ জনের একটি ব্যান্ড ছিল। সেই ব্যান্ডের ড্রামার এবং প্রধান গায়ক ছিলেন কেকে। বলতে গেলে ব্যান্ডের প্রাণশক্তি ছিল কেক। কলেজে পড়ার সময় ক্লাস কম করে গানের চর্চা বেশি করতেন কেকে। কলেজে গিয়ে ক্লাসে না গিয়ে প্রথমেই চলে যেতেন গ্রিনরুমে । প্রতিযোগিতা থেকে রক শো, কলেজের লনে বসে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা চলত। অন্যান্য কলেজের ফেস্টিভ্যালে গিয়েই গান গেয়ে পুরস্কার নিয়ে এসেছেন কেকে । এক রাতে গান গেয়ে ৫০০০ টাকা উপার্জন করেছিলেন। তবে কলেজে থাকাকালীন বেশিরভাগই ইংরাজি গান করত কেকে  কিন্তু মুম্বইতে আসার পর পুরোপুরি হিন্দি গানে ফোকাস করে। তিনি যেন এক এবং অনন্য। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডে এমনই এক ফ্রেশ মেল কন্ঠের খোঁজ ছিল। আর ঠিক সেই সময় থেকেই নিজের মতো করে শুরু করেন কেকে। 

Latest Videos

 

 

কেকে-র গানের তালিকা এতটাই বড় যে বলে শেষ করা যাবে না। তার গানের মাধ্যমেই বন্ধুত্ব, ভালবাসা, প্রেম, বিরহ, বিচ্ছেদ যে কোনও মুহূর্তের সঙ্গেই আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গে কোথাও না কোথায় মিল রয়েছে। তিনি নিজেও এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন পুরস্কার নয়, তার লক্ষ্য ছিল মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া। মানুষের ভালবাসাই হল তার সবচেয়ে বড় পুরস্কার।  আর তা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন। জন্মদিনে একবার নয়, বার বার ফিরে আসবে তার কন্ঠ, তার গল্প। তার গানের মধ্যে দিয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন সকলের হৃদয়ে। তড়প তড়প, খুদা জানে, আঁখো মে তেরি, কেয়া মুঝে প্যায়ার হ্যায়, জরা সা, দিল ইবাদত. সচ কহে রহা হ্যায় দিওয়ানা, ইয়ারোঁ, অলভিদা- প্রতিটা গানের সঙ্গে আমাদের ইমোশন জড়িয়ে রয়েছে। এই গানের মধ্য দিয়েই আমরা নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করি। আর তার মৃত্যুর পর যেন এই গানই মনের প্রতিটা কোণায় গেঁথে রয়ে গেছে। চলে গেল তরতাজা একটি প্রাণ। আর কোনওদিনই ফিরে আসবে না। হাসতে হাসতে সুরের জাদুতে সকলকে ভুলিয়ে আলবিদা বলে চলে গেল সঙ্গীতশিল্পী কেকে। কেকে-র আকস্মিক প্রয়াণে সকলেই শোকস্তব্ধ। তারকা থেকে সঙ্গীতশিল্পী সকলেই তার মৃত্যুতে শোকাহত। কেউই যেন এটা মেনে নিতে পারছেন না।  কলকাতার নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন কেকে। গায়কের গানের টানেই যেন উপচে পড়েছিল ভিড়। তবে কলকাতায় গান গাওয়া যে জীবনের শেষ গান হবে তা মনে হয় কেউ ভাবতে পারেননি।  গায়কের মৃত্যুসংবাদে গোটা বিশ্ব যেন আজও ভারাক্রান্ত। 
  

আরও পড়ুন-এই বিশেষ কারণেই রণবীরের সঙ্গে বিয়ের আগে লিভ-ইনে থাকতেন আলিয়া, কারণ জানলে চমকে যাবেন

আরও পড়ুন-সহবাসের পরও চলত অকথ্য শারীরিক অত্যাচার, তাও কেন সলমনকে ছাড়েননি ঐশ্বর্য

Share this article
click me!

Latest Videos

New Alipore-এ বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন! পুড়ে ছাই একাধিক ঝুপড়ি, আগুন নেভাতে মরিয়া দমকল
‘Mamata Banerjee আজ TMC-র মুখ্যমন্ত্রী আছেন কাল জামাতের মুখ্যমন্ত্রী হবেন’ বিস্ফোরক Sukanta Majumdar
Narendra Modi : 'কুয়েত যেন মিনি হিন্দুস্তান', কুয়েত সফরে এসে কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?
PM Modi Live : কুয়েতে Gulf Spic-এর ভারতীয় কর্মীদের সঙ্গে আড্ডা মোদীর, দেখুন সরাসরি
'একটা আস্ত অশিক্ষিত...গোটা রাজ্যটাই জঙ্গিদের হাতে' কড়া বার্তা শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari