অভিনয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না রেখার, জন্মদিনে চিনে নিন চিরসবুজ বলি অভিনেত্রীকে

  • জন্মদিনে সুন্দরী অভিনেত্রী রেখা
  • তাঁর সিনেমা জগতে আসার পেছনে আছে এক কাহিনি
  • তমিল থেকে এসে তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের একজন সেরা অভিনেত্রী 
  • জেনে নিন তাঁর সম্পর্কেই কিছু অজানা তথ্য

অনিচ্ছা সত্বেও চলচ্চিত্র জগতে পা রেখে ছিলেন রেখা। 'সিল সিলা' থেকে শুরু করে 'মুকাদ্দর কা সিকান্দর', উমরাহ জান -এর মত একের পর এক হিট ছবি পর্দায় এসেছে তাঁরই হাত ধরে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর অভিনয় মন কেড়েছিল দর্শকদের। ৬৫ তে পা দিলেন রেখা, তবুও এভারগ্রিন তিনি। 

 ১৯৫৪ সালের ১০ অক্টোবর তামিলে জন্মগ্রহন করেন রেখা। রেখার বাবা ছিলেন তামিল সিনেমার সুপারস্টার জেমিনি গণেশণ এবং তাঁর মা ছিলেন তামিল অভিনেত্রী পুস্পাবলী। শোনা যায় তাঁর মা-বাবার বিয়ের আগেই রেখা হয়েছিলেন তাই তাঁকে তাঁর বাবা সন্তান হিসাবে স্বীকার করতে চাননি। তাঁর অবহেলিত হওয়ার কথা উঠে এসেছিল তাঁর একটি সাক্ষাৎকারের মধ্যে দিয়ে। 

Latest Videos

তেলেগু সিনেমা 'রাঙ্গুলা রত্নম' দিয়ে তাঁর সিনেমা জগতে আসা। সেখানে অবশ্য তিনি শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলেন। অভিনেত্রী হিসাবে তাঁর সিনেমা জগতে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল অপারেশন জ্যাকপট নল্লি সি.আই.ডি. ৯৯৯ দিয়ে। সেই বছরেই তিনি তাঁর প্রথম হিন্দি সিনেমা অঞ্জনা সফরে অভিনয় করেন। প্রথম দিকে তাঁকে সিনেমা জগতের কেও তেমন পছন্দ না করলেও পরে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর সব সিনেমা হিট করতে থাকে। সেই সঙ্গে বলিউডে তিনি জনপ্রিয়তাও পেতে থাকেন।  

শোনা যায় অভিনয়ের প্রতি তাঁর কোনও আগ্রহই ছিল না। তাঁকে কিছুটা জোড় করেই সিনেমায় নামানো হয়েছিল এবং তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল অর্থ উপার্জন। যার ফলে এই সময়টা তাঁর কাছে বেশ একটা কঠিন সময় ছিল। বলিউডে কাজ শুরু করার আগেও তাঁকে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়েছিল। দক্ষিণ ভারত থেকে আসায় তিনি সেই ভালো হিন্দি বলতে বা বুঝতেও পারতেননা। সেই কারণ তাঁকে অবহেলিত হতে হত প্রতি মুহুর্তে। পরে অবশ্য হিন্দি না জানা সেই মেয়েটাই হয়ে ওঠেন বলিউডের সুপারহিট নায়িকা।

রেখাতে তাঁর গায়ের রঙ নিয়েও নানা কথা শুনতে হয়েছিল। আর সেই কারণেই পরে তিনি প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন। এই পরেই তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের সুন্দরী অভিনেত্রী আর সেই সঙ্গে চিরসবুজ অভিনেত্রীও।

তাঁর কর্মজীবনের ৪০ বছরের মধ্যেই তিনি ১৮০ টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সেই পেয়েছেন বহু পুরষ্কারও। তাঁর হাতে তিনবার ফিল্মকেয়ার পুরষ্কার উঠেছে। তিনি দুবার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরষ্কারও। এছাড়াও তিনি একবার শ্রেষ্ঠ পার্শ অভিনেত্রীর পুরষ্কার পেয়েছেন। ১৯৮১ সালে উমরাহজানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পান তিনি। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে আছে অসংখ্য পুরষ্কার। তাঁর অভিনয়ই তাঁকে এই সম্মান এনে দিয়েছে।  

Share this article
click me!

Latest Videos

‘সরকারকে প্রশ্ন করলেই সরকার উলঙ্গ হয়ে যাবে!’ বক্তব্য রাখতে না দেওয়ায় বিস্ফোরক Sajal Ghosh
'মাননীয়া আপনার শাড়িতে দুর্নীতির কালো ছোপ ছোপ দাগ' মমতাকে (Mamata) এ কী বললেন অগ্নিমিত্রা ?
আজ রাজ্যে উপনির্বাচনের (By Election) রেজাল্ট আউট, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগণনা (Vote Counting)
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
Suvendu Adhikari Live: বিধানসভার বাইরে মুখোমুখি শুভেন্দু অধিকারী, দেখুন সরাসরি