মায়ের কাছে ফিরিয়েছেন ছেলেকে। মেয়ের পড়াশোনার জন্য নিজের সাধের ফোন বিক্রি করেছিলেন এক বাবা। তাঁকেও ফোন কিনে দিয়েছেন সোনু সুদ। সাহায্য করেছেন অগণিত পরিযায়ী শ্রমিককে। মুম্বইতে আটকে থাকা শ্রমিকদের নিজের বাড়ি ফিরতে সাহায্য করেছেন তিনিও। আজও পর্যন্ত অসংখ্য মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে চলেছেন তিনি। খুলেছেন একটি হেল্পলাইন নম্বরও। যার মাধ্যমে তিনি প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন বিশেষ বার্তা। কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে বিনাদ্বিধায় এই নম্বরের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এবার তেলেঙ্গানার তিন শিশুর দায়িত্ব নিলেন তিনি।
ইয়াদারি-ভুবনগিরির তিনটি শিশু সদ্য হারিয়েছে নিজের বাবাকে। মা গত হয়েছেন কিছু বছর আগেই। দিদা জীবিত তবে তিন শিশুর দায়িত্ব নেওয়ার মত ক্ষমতা এবং সামর্থ কোনটাই নেই। সেই খবর অভিনেতার কাছে পৌঁছতেই আর দেরি নয়। তিনটি শিশু অনাথ নয়। এখন থেকে তাদের দায়িত্ব নিলেন সোনু। টুইট করে অভিনেতা জানিয়েছেন, "ওরা আর অনাথ নয়। এখন থেকে ওদের দায়িত্ব আমার।" বলিউয়ের রিল হিরো যে এভাবে রিয়েল হিরো হয়ে উঠতে পারেন তা ভাবেনি তিনি নিজেও হয়তো কখনও ভাবেননি। যেখানে আর পাঁচজন তারকার বাড়ির মধ্যেই থেকে নানা ভাবে আর্থিক সাহায্য করে দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেখানেই করোনার প্রকোপেও নিজে রাস্তায় নেমে অগণিত পরিযায়ী শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে সুদের এই অবদানের জন্য তাঁর কাছে আজও কৃতজ্ঞ দেশবাসী। সম্প্রতি কাপিল শর্মা শো-তে শ্রমিকদের তরফ থেকে একটি বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে সোনু সুদের জন্য। যা দেখে আবেগঘন হয় চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না সোনু সুদ। জনা কয়েক পরিযায়ী শ্রমিক তাঁকে মন ভরে শুভেচ্ছা জানালেন এবং আশীর্বাদ করলেন। লকডাউনের জেরে বিনোদন জগতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সমস্ত শ্যুটিং। সমস্ত নিয়মাবলী মেনেই ফের সেই পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু হল কপিল শর্মা শো। লকডাউন ব্রেকের পর অনুষ্ঠানের প্রথম অতিথি হিসেবে এলেন সোনু সুদ। যেখানে তাঁর জন্যই বিশেষ উপহার প্রস্তুত করে রেখেছিলেন কপিল শর্মা।