চির নিদ্রায় ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ৭০ বছর ধরে সিংহাসনে আসিন থাকার পর তিনি পরলোকগমন করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই সিংহাসনে এখন অধিষ্ঠান করেছেন পুত্র চার্লস। রাজা হিসাবে চালর্স কিছু অদ্ভুত অদ্ভুত সুবিধা পাবেন। কি সেই সব সুবিধা, জানুন।
আপনি কি ভাবতে পারেন লাইসেন্স ছাড়াই রাস্তায় গাড়ি চালানো কিংবা পাসপোর্ট ছাড়াই বিদেশ যাত্রার কথা! আপনি-আমি হয়তো এমনটা ভাবতে পারি না, কিন্তু ব্রিটেনের রাজা-রানি এমনটা ভাবতেই পারেন। কারণ ব্রিটেনের রাজা-রানি-র এই পরিচয়টাই এত বড় যে তাঁদের বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যেতে পাসপোর্ট লাগে না। এমনকি, রাজা বা রানি যদি গাড়ি চালাতে চান, তাহলেও প্রয়োজন পড়বে না লাইসেন্সের। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনাবসানের পর ব্রিটেনের রাজ সিংহাসনে আসিন হয়েছেন ৭২ বছরের পুত্র চার্লস। তিনি এখন কিং তৃতীয় চার্লস।
৯৬ বছর বয়সে জীবনাবসান হয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম সময় সিংহাসনে কাটিয়েছেন তিনি। ব্রিটেনের রাজপরিবারের রীতি অনুযায়ী, রানির মৃত্যুর পরেই তাঁর উত্তরসূরীকে সিংহাসনে বসতে হয়। জর্জ দ্য সিক্সথের প্রয়াণের পর একইভাবে তাঁর কন্যা লিলিবেটকে সিংহাসনে বসতে হয়েছিল। ঠিক তেমনইভাবে এবার ব্রিটেনের রাজসিংহাসন এলিজাবেথের পুত্র চার্লসের । ৭৩ বছর বয়সে প্রিন্স থেকে কিং হলেন চার্লস।
ব্রিটেনের রাজতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী, রাজা বা রানির যাতায়াতের জন্য কোনও পাসপোর্ট লাগে না। তিনি যদি গাড়ি চালাতে চান, তবে তার জন্য লাইসেন্সেরও প্রয়োজন পড়বে না। তবে সুবিধার তালিকা এখানেই শেষ নয়, এছাড়াও একাধিক সুবিধা, যার মধ্যে বেশ কিছু অদ্ভুতও বটে, এমন সুবিধা পাবেন। রাজা হওয়ার পর থেকেই চার্লস তৃতীয়কে বিদেশ যাত্রার জন্য কোনও পাসপোর্টের প্রয়োজন পড়বে না। রাজ পরিবারের বাকি সদস্যদের বিদেশ যাত্রার জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন পড়লেও, যিনি রাজা বা রানি হন, তাদের পাসপোর্টের কোনও প্রয়োজন পড়ে না। তাদের নামে কোনও নথিই থাকে না। প্রত্যেকটি নথিতেই তার বদলে হিজ মেজেস্টি শব্দটি উল্লেখ থাকবে। একই কারণে ব্রিটেনের রাজা বা রানির কোনও ড্রাইভিং লাইসেন্সেরও প্রয়োজন পড়ে না। রানি এলিজাবেথেরও সেই কারণে কোনওদিন কোনও পাসপোর্ট, ভিসা বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়েনি।