আবারও করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বর্ধমানের আর এক পরিবারের। পূর্ব বর্ধমানের নবীনগরের বাসিন্দা আল হিলাল। প্রায় কুড়ি বছর ধরে স্ত্রী নার্গিস পারভিন ও তেরো বছরের ছেলে আহান সেখকে নিয়ে চিনের সেনজেন এ থাকেন। সেখানে টেক্সটাইল এর ব্যবসা করেন। সেই এলাকায় এখন দোকানপাট , ট্রেন, বাস বিমানবন্দর প্রায় সবই বন্ধ। আলহিলাল সহ গোটা পরিবার এখন গৃহবন্দি । যেখানে থাকেন সেখানে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কম। তাও সবাই আতঙ্কে রয়েছেন। বর্ধমানের ফিরতে চান। তিনি ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, তাকে দেশে ফেরানোর।
বাড়িতে রয়েছেন বাবা মহম্মদ জয়নাল আবেদিন, মা হালিমা বিবি ও ভাই। বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। পরিবারের সকলেই এখন চিন্তায় রয়েছে। ইতিমধ্য়েই চিনে করোনা ভাইরাসে আতঙ্কগ্রস্ত ভারতীয়দের দেশে আনার উদ্য়োগ নিয়েছে মোদী সরকার। বিদেশমন্ত্রী এস জয় শঙ্কর জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ভারতীয় দূতাবাস। শীঘ্রই বিমান পাঠিয়ে চিনের ইউহান প্রদেশ থেকে ভাইরাসের কারণে গৃহবন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
বিগত কিছুদিন ধরেই চিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয়েছে ৮২ জনের। ক্রমশই আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়েই চলেছে। যার জেরে চিন্তায় পড়েছেন চিনে বসবাসরত ভারতীয়দের পরিবার। পরিসংখ্য়ান বলছে, ভারত থেকে চিনে ডক্টরেট করতে যায় দেশের ছাত্রদের একটা বড় অংশ। ইউহান প্রদেশে করোনো ভাইরাসের আতঙ্কে বর্তমানে যারা গৃহবন্দি।
সম্প্রতি এরকমই এক ছাত্র খবর সামনে এসেছে। বর্ধমানের ওই ছাত্রের নাম সাম্য় কুমার রায়। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে একন নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছে ওই ছাত্র। সন্তানের চিন্তায় রক্তচাপ বাড়ছে সাম্য়ের পরিবারে। বর্ধমানের কালিবাজার এলাকার যুবক সাম্য কুমার রায়। দু বছরের পোস্ট ডক্টরেট করতে গিয়েছেন চিনে। সেখানে হোবেই প্রদেশের ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডমিশন নিয়েছেন সাম্য়। কিন্তু হঠাৎ যে এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্য়ে পড়তে হবে, বুঝতে পারেননি তিনিও।