পায়ে শিকল বাধা অবস্থায় বন্দী জীবনযাপন। ১২ বছরের নাবালিকার এই ছবি ধরা পরল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রামের কেউগুড়িগ্রামে।
ক্ষেতমজুর পরিবার। একমাত্র মেয়ের বয়স ১২ বছর। তার পায়ে শিকল বেঁধে রাখতে বাধ্য হয়েছে বাবা-মা। বছর চারেক আগে তার মানসিক রোগ ধরা পড়ে। হঠাৎই কাউকে কামড়ে দিত, আচড়ে দিত, স্বাভাবিক থাকতে থাকতে হঠাৎ অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে । এখানে সেখানে পালিয়ে যেত। গ্রামের লোকদের চাপে পড়েই পায়ে শিকল বেঁধে বাড়িতে রেখে দিতে বাধ্য হয়। ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়াশোনা স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে।
বিচারককে লক্ষ্য করে জুতো 'জঙ্গি মুসার' , ব্যাংকশাল আদালতে উত্তেজনা
তবে উচ্চ বিদ্যালয় ভর্তি করার সাহস হয়নি। তার মা জানিয়েছেন, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা নজরে রাখতো। উচ্চ বিদ্যালয়ে সেই নজরদারি থাকবে কিনা সেই ভয়ে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কলকাতার পিজি হাসপাতাল। প্রাইভেট ডাক্তারের কাছেও কম ঘোরেননি। সব জায়গায় মেয়ে চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মাসে প্রায় আড়াই হাজার টাকার ওষুধ কিনতে কালঘাম ছোটার পরিস্থিতি হয়।
একজন ছাত্র, একজনই শিক্ষক, বাংলাতেই রয়েছে এমন সরকারি স্কুল
যার ফলে ৫ মাস হল অর্থের অভাবে ওষুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দিয়েছে পরিবার। মেয়েকে সুস্থ করতে এখন সরকারি সাহায্য চাইছে পরিবার। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন,বাধ্য হয়েই মেয়েকে এভাবে আটকে রাখে মেয়ের বাবা -মা। পাছে মেয়ে নিজের বা কারও ক্ষতি করে সেই আতঙ্ক গ্রাস করে চলে ওদের।