ভেঙে পড়তে পারে, আশঙ্কা থেকেই হাতুরির ঘা বর্ধমান স্টেশন ভবনে

Published : Jan 20, 2020, 12:51 AM IST
ভেঙে পড়তে  পারে, আশঙ্কা থেকেই  হাতুরির ঘা বর্ধমান স্টেশন ভবনে

সংক্ষিপ্ত

ভাঙার কাজ শুরু হল বর্ধমান স্টেশন ভবনের বাকি অংশের  রবিবার রাতে এই কাজ শুরু করেছে রেল সম্প্রতি হঠাৎই ভেঙে পড়ে বর্ধমান স্টেশনের একটি অংশ বাকি অংশ নিয়েও সন্দেহ দানা বাঁধে রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের মনে  

ভাঙার কাজ শুরু হল বর্ধমান স্টেশন ভবনের বাকি অংশের। রবিবার রাতে এই কাজ শুরু করেছে রেল। সম্প্রতি হঠাৎই ভেঙে পড়ে বর্ধমান স্টেশনের দোতলা মূল ভবনের একটি বড় অংশ। বাকি অংশ নিয়েও সন্দেহ দানা বাঁধে রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের মনে। শেষমেশ ভেঙেই ফেলা হচ্ছে সেই বাকি অংশ।

এর আগে ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় বর্ধমান স্টেশন ভবনের বাকি অংশের স্বাস্থ্য় পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল। পরামর্শ নেওয়া হয় আইআইটি খড়গপুরের ইঞ্জিনিয়ারদের থেকে। সিদ্ধান্ত হয় শীঘ্রই স্টেশন ভবনের শক্তি পরীক্ষায় নামবে আইআইটি-র হাই পাওয়ার কমিটি। ঘটনাস্থল দেখে এমনটাই জানান পূর্ব রেলের জেলারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মা।

কদিন আগেই হঠাৎই ভেঙে পড়ে বর্ধমান স্টেশনের দোতলা মূল ভবনের একটি বড় অংশ। যে অংশটি ভেঙে পড়ে, সেটির নীচেই ছিল অনুসন্ধান কেন্দ্র। ব্যস্ত সময়ে স্টেশনে বহু যাত্রী থাকায় প্রথমে অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।  পরে অবশ্য জানা যায়, যা আশঙ্কা করা হয়েছিল  তা ভুল। ঘটনায় মাত্র দু' জনের গুরুতর আঘাত লাগে। তাঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এক যাত্রীর এ দিন সকালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়। 

পরে অবশ্য স্টেশন ভবনের বাকি অংশের নীচে লোহার বিমের সাপোর্ট দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি দেখতে যান পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মা। তিনি জানান, ভবনটি ১৯০৫ সালে তৈরি। শেষ কবে তাঁর স্বাস্থ্য় পরীক্ষা হয়েছে তা তিনি জানেন না।  ভবনের বাকি অংশটুকুও কতটা নিরাপদ, তা নিয়েও সবার মনেই সংশয় থাকছে। সেকারণে আইআইটি  খড়গপুরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন তারা। শীঘ্রই আইআইটি খড়গপুর থেকে একটি হাই পাওয়ার্ড কমিটি বিল্ডিংয়ের স্বাস্থ্য় পরীক্ষায় আসবে। এরপরই বিল্ডিং নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারবে রেল।

এরই মধ্য়ে বর্ধমান স্টেশন ভবন ভেঙে পড়া নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনীতি। তৃণমূলের প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, বর্ধমান স্টেশন বিল্ডিংয়ের অবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের মতো। বাইরে চাকচিক্য় থাকলেও  ভিতরে ফাঁপা। রেলের অসাবধানতায় অভাবে এই দুর্ঘটনায় আরও অনেকের প্রাণ যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যদিও সতর্কতার অভাবের কথা স্বীকার করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, সতর্কতার অভাবেই বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। যে সংস্থা মেরামতির দায়িত্বে ছিল, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।  

PREV
click me!

Recommended Stories

সৌমিকদের গ্রেফতারি তাহলে কেন ছাড় প্যাটিস বিক্রেতাকে? প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শুভেন্দু
চিকেন প্যাটিস কাণ্ডে গ্রেফতার সৌমিক গোলদার, কী প্রতিক্রিয়া সুকান্তর?