বাঁশের বেড়া দিয়ে করোনাকে আটকানো যাবেনা। কনটেইনমেন্ট জোনের মানুষজন ভীষণ কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। কনটেইনমেন্ট জোন এর নামে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। সেখান থেকে মানুষজন কে আটকানো হচ্ছে। তবে ভাইরাস কাটানো যাবে না এভাবে। মানুষকে আহত করে জেলখানায় ভরে এইভাবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই শক্তিশালী হবে না। বর্ধমান এসে বললেন, রাজ্যের কোভিড উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অভিজিৎ চৌধুরী।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাদম্বরী সভাগৃহে কভিড কেয়ার নেটওয়ার্কের বর্ধমান শাখা উদ্বোধন এর এসে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, কোভিড এর জন্য সবাই সমাজের নানা ভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। ভয়-ভীতি সংশয় গ্রাস করছে । মানুষ স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে নানান ভাবে। একে অপরের কথা না ভেবে নিজের কথা ভাবতে চাইছে। সমাজ এক একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হচ্ছে। তিনি বলেছেন, করোনা মানে মৃত্যু নয়। কারোনা মানে জয়। এটা মানুষকে বোঝাবে কভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক।
এই অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা যে, কনটেইনমেন্ট জোন এর নামে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। সেখান থেকে মানুষজনকে আটকানো হচ্ছে। ভাইরাস এর সাথে আমরা লড়বো। কিন্তু মানুষগুলোকে আহত করে, জেলখানায় পুরে ভাইরাস এর সাথে লড়াই শক্তিশালী হবে না। সেই মানুষগুলোকে আরো আহত করে দিয়ে, মনে মেরে দিয়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই শক্তিশালী হবে না । প্রশাসনের সাথে আমরা এ নিয়ে কথা বলবো।
এক দিকে সতর্ক থাকতে হবে। আতঙ্ক করলে চলবে না। আমরা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করব। মানুষের সংবেদনশীল দিকগুলো বিবেচনা করতে হবে। বেড়া দিয়ে সেই জায়গায় মানুষরা ভীষণ কষ্টের মধ্যে পড়ছেন। আমরা চাইব এভাবে বেড়া না দিয়ে অন্য কোন সংবেদনশীল উপায় চিহ্নিতকরণ করা যায় কিনা। মানুষগুলোকে বেঁধে করণ আটকানো যাবেনা। যে জল নিতে যাচ্ছে তার ঘাট বেঁধে দিয়ে করোনার গতি রুদ্ধ করা যাবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি বেহুলা-লখিন্দরের গল্প উল্লেখ করেন বলেন, লক্ষিন্দরের বাসর ঘর তৈরী করে সাপের গতি যেমন রুদ্ধ করা যায়নি, তেমনি বাঁশের বেড়া দিয়ে করোনার গতি রুদ্ধ করা যাবে না।
কভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মানুষকে ভয় ভীতি থেকে দূর করাই লক্ষ্য এই সংস্থার। কলকাতা শহর ছাড়াও শিলিগুড়ি মুর্শিদাবাদ বীরভূম হুগলি হাওড়া উত্তর 24 পরগনায় কাজ শুরু হয়েছে। বর্ধমান শহরে কাজ শুরু হলো আজ থেকে । এখান থেকে গোটা জেলা জুড়ে কাজ চলবে বলে তিনি জানিয়েছেন।