শনিবার অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে সঙ্গে পতন হয়েছে বিটকয়েনের দামের।
ডিজিটাল মার্কেটে ২২ শতাংশ পতন হয়েছে বিটকয়েনের। ১০ নভেম্বর বিটকয়েনের রেকর্ড দাম উঠেছিল। তারপর আজ এই পতন হয়েছে। শনিবার অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে সঙ্গে পতন হয়েছে বিটকয়েনের দামের। বাজারে অস্থিরতার মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ ডিজিটাল কয়েন বিটকয়েনের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৪২,২৯৬ ডলার।
অন্যদিকে দ্বিতীয় বৃহৎ ডিজিটাল কয়েন ইথার-এর দাম পড়ে যায় শতকরা প্রায় ১৭.৪ ভাগ। পরে অবশ্য সেখান থেকে এই পতন শতকরা প্রায় ১০ ভাগে উঠে আসে। কয়েনগিকো নামের ট্র্যাকারের মতে, পুরো ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য প্রায় এক পঞ্চমাংশ হারিয়ে এর মূল্য দাঁড়িয়েছে ২.২ ট্রিলিয়ন ডলার। অর্থনৈতিক বাজারে এক অস্থির অবস্থার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলো তার আর্থিক নীতি কঠোর করছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশে করোনার এই নতুন প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। ভারতেও বেশ কয়েকজনের শরীরে এই প্রজাতির হদিশ মিলেছে। তা থেকে বাড়ছে ঝুঁকি। নভেম্বরে এ কারণে বিশ্ব স্টকের দরপতন হয়েছে শতকরা ৪ ভাগেরও বেশি। সিঙ্গাপুরের লুনো ক্রিস্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ লুনোর এশিয়া প্যাসিফিকের প্রধান বিজয় আয়ারের মতে, শনিবার বিটকয়েনের এমন পতনে ক্রেতারা দূরে অবস্থান করতে থাকেন। ফলে এর দাম পড়ে যায়। ওমিক্রন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আর্থিক বাজারে দেখা দিয়েছে হতাশা। ফলে অর্থনীতিতে, মার্কেটে কি ঘটবে তা বলা খুবই কঠিন। বিষয়টি এখন পুরোপুরি অনিশ্চিত।
গত মাসেই বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপটোকারেন্সি বিটকয়েন(BITCOIN) ও দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপটোকারেন্সি আথার(ETHER) ক্রিপটো মার্কেটে রেকর্ড গড়ে। বিটকয়েন (BITCOIN) ও আথার (ETHER) যথাক্রমে ৬৭,৭০০ ডলার ও ৪৮০০ ডলারে পৌঁছে যায়। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবরে ডিজিটাল কয়েনের রেকর্ডের প্রায় ৩ সপ্তাহ পর(AFTER 3 WEEKS) নতুন রেকর্ড গড়ে বিটকয়েন(BITCOIN)। সেই সময় ৬৭০০০ ডলারের কিছুটা নীচে ছিল বিটকয়েন। তবে ৯ নভেম্বর সোমবার বিটকয়েন ও আথারের যৌথ উদ্যোগে ক্রিপটোকারেন্সির বাজার ৩ ট্রিলিয়ানের রেকর্ড ছুঁয়ে যায়। প্রায় ৭ শতাংশ মতো বৃদ্ধি পেয়েছিল ক্রিপটোকারেন্সসির মূল্য।