পেট্রোল, ডিজেল-সহ এলপিজির দাম লাফিয়ে লাফয়ে কমতে পারে। তেমনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছে জেপি মরগান। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে জ্বালানির দাম হুহু করে কমে যাবে। যা ভারতের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির জন্য একটি স্বস্তির খবর।
পেট্রোল, ডিজেল-সহ এলপিজির দাম লাফিয়ে লাফয়ে কমতে পারে। তেমনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছে জেপি মরগান। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে জ্বালানির দাম হুহু করে কমে যাবে। যা ভারতের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির জন্য একটি স্বস্তির খবর।
26
রিপোর্টে প্রকাশ
জেপি মরগানের রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে ব্রেন্ট ক্রুজের দাম ব্যারেল প্রতি ৩০ ডলার কমে যেতে পারে। যার কারণে গোটা বিশ্বেই জ্বালানি তেলের দাম অর্থাৎ পেট্রোল ডিজেলের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা কমতে পারে।
36
ভারতের মত দেশগুলিতে তেলের দাম
ভারতের মতো দেশগুলির জন্য নিঃসন্দেহে সুসংবাদ। কারণ, ভারত অপরিশোধিত তেলের চাহিদার ৮৫ শতাংশেরও বেশি আমদানি করে। যার জন্য উল্লেখযোগ্য খরচ করতে হয়। এক ধাক্কায় ৩০ ডলার কমলে অনেকটা সাশ্রয় হবে তেলের।
রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ৩ বছর তেলের ব্যবহার বাড়তে। পাশাপাশি উৎপাদনও প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বের একাধিক দেশে তেলের উৎপাদন বাড়বে। যার কারণে বাজাতে তেলের আধিক্য তৈরি হবে। তাতেই দাম কমে যাবে।
56
২০২৫ সালে তেলের ব্যবহার
২০২৫ সালে বিশ্বে তেলের চাহিদা দৈনিক ০.৯ মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে মোট ব্যবহার ১০৫.৫ মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছবে বলেও জানা গিয়েছে। এই বৃদ্ধি ২০২৬ এবং ২০২৭ সালেও অব্যাহত থাকবে। জেপি মরগানের অনুমান, চাহিদার তুলনায় তেলের সরবরাহ প্রায় ৩ গুণ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। ২০২৭ সালে সরবরাহ বৃদ্ধির গতি কিছুটা ধীর হবে। তবে বাজারের পরিপ্রেক্ষিতে এটি অনেকটাই বেশি থাকবে। ডিমান্ড এবং সাপ্লাইয়ের এই ভারসাম্যহীনতা OPEC+ দেশগুলির ক্রমবর্ধমান তেল উৎপাদনের কারণেই ঘটবে।
66
২০২৭ সালে তেলের ব্যবহার
জেপি মরগানের অনুমান, ২০২৭ সালের মধ্যে হওয়া মোট সরবরাহ বৃদ্ধির অর্ধেক আসবে এই দেশগুলি থেকেই। এর কারণ নতুন গভীর সমুদ্র তেল উত্তোলন প্রযুক্তি এবং বিশ্বব্যাপী শেল তেলের ক্রমবর্ধমান উৎপাদন। গভীর সমুদ্র থেকে তেল উত্তোলন এখন একটি নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে পরিণত হয়েছে। ২০২৯ সালের জন্য নির্ধারিত বেশিরভাগ তেল উত্তোলনকারী জাহাজ ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে।