
রাজ্যে চলতি শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ কমে যাওয়া নিয়ে জোর জল্পনার পর অবশেষে স্পষ্ট বক্তব্য রাখলেন পশ্চিমবঙ্গের স্কুল ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিনোদ কুমার। ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের ইনোভেশন কনক্লেভে তিনি জানান, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের শূন্যপদ কোনওভাবেই কমছে না। মোট পদসংখ্যা পরিবর্তনের যে জল্পনা চলছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যাঁরা পুনর্বহাল হচ্ছেন, তাতে নতুন প্রার্থীদের শূন্যপদে কোনও প্রভাব পড়বে না।” কুমার আরও জানান, বর্তমানে মোট শূন্যপদ ৩৫,৭২৬— এবং তা অপরিবর্তিত থাকবে।
এদিন কনক্লেভের বক্তৃতায় শিক্ষাসচিব বলেন, রাজ্যের নীতিগত অগ্রাধিকার এখন শিল্পক্ষেত্রের প্রয়োজনের সঙ্গে মিলিয়ে ভবিষ্যৎ-প্রস্তুত কর্মশক্তি তৈরি করার দিকে যাচ্ছে। তিনি জানান, স্কুলশিক্ষার বাজেট ২০১১ সালের ₹৮২৯ কোটি থেকে ২০২৪–২৫-এ বেড়ে ₹১০,০০০ কোটিরও বেশি হওয়ায় আইসিটি, স্মার্ট ক্লাসরুম ও এআই-নির্ভর শিক্ষা দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, স্টেট ইউনিভার্সিটি পলিসি ২০২৩ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে জাতীয় শিক্ষা নীতির সঙ্গে সমন্বয় এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল-সহ বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়াতে সহায়তা করছে।
ICC–র হায়ার এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান সত্যম রায়চৌধুরী বলেন, “জনসংখ্যাগত সুবিধা তখনই অর্থবহ যখন ছোটবেলা থেকেই কৌতূহল ও হাতে–কলমে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হয়,” উল্লেখ করে তিনি জানান যে AI, সাইবারসিকিউরিটি ও সাসটেনেবিলিটিতে দক্ষতার ঘাটতি এখনও প্রায় ৩০ শতাংশ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, উদ্ভাবন কাঠামোকে এক ছাতার নিচে আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিফায়েড ইনকিউবেশন সেন্টার গড়া হয়েছে এবং AI, ডেটা সায়েন্স, সাইবার সিকিউরিটি–সহ বিশেষায়িত উচ্চমাধ্যমিক কোর্স চালু করা হয়েছে।
অটল ইনোভেশন মিশনের ডিরেক্টর দীপক বাগলা বলেন, AIM-এর জাতীয় হ্যাকাথন গিনেস রেকর্ড করেছে এবং দেশে ১০,০০০ ইনোভেশন ল্যাব চালু রয়েছে, আরও ৫০,০০০ ল্যাব তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রজা রামান্না চেয়ার প্রফেসর অনুপম বসুর মন্তব্য, “প্রযুক্তি বদল আনলেও শক্তিশালী জ্ঞানভিত্তি ছাড়া উদ্ভাবন টেকে না।”