
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) অনুসারে, ভারত বিশ্ব অর্থনৈতিক র্যাঙ্কিংয়ে জাপানকে ছাড়িয়ে চতুর্থ স্থানে পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের এপ্রিলের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক অনুসারে, ভারতের জিডিপি ৪.১৮৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে, যা জাপানের ৪.১৮৬ ট্রিলিয়ন ডলারের চেয়ে সামান্য বেশি। এই পরিবর্তন ভারতের অর্থনৈতিক যাত্রায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক।
ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির চেয়ে এগিয়ে
২০২৪ সালে ৩.৯ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপি নিয়ে ভারত পঞ্চম স্থানে ছিল। জাপানের ৪.১ ট্রিলিয়ন ডলারের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে ছিল ভারত। ২০২৫ সাল পর্যন্ত, ভারতীয় অর্থনীতি তার গতি ধরে রেখে দ্রুত এবং ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির প্রতিফলন ঘটাবে বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আইএমএফ ২০২৫ সালে ভারতের প্রকৃত জিডিপি ৬.৩% হারে বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে, যদিও এটি আগের ৬.৫% অনুমানের থেকে সামান্য কম।
বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে ভারত তার অবস্থান ধরে রেখেছে। শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং অনুকূল জনসংখ্যার কারণে IMF ২০২৬ সালে ৬.২% এবং ২০২৭ সালে ৬.৩% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। এই মজবুত ভিত্তির বৃদ্ধি ভারতকে অনেক আন্তর্জাতক প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে।
বাণিজ্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে জাপানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন জাপানের অর্থনীতি ২০২৫ সালে সমস্যার সম্মুখীন হবে। ফলে এর প্রবৃদ্ধির হার ২০২৫ সালের জানুয়ারি IMF পূর্বাভাসে ১.১% থেকে ০.৬% এ নেমে আসবে। এই পতন বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এবং জাপানের অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত সমস্যা চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
২০৩০ সালের মধ্যে ভারত জার্মানি ও জাপানকে ছাড়িয়ে যাবে
সামনের দিকে তাকালে, ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের জিডিপি ৬.৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে, যা জার্মানির চেয়ে ২০% বেশি এবং জাপানের চেয়ে ৩৩% বেশি। ২০২০ সালের পর থেকে, ভারতের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা স্থিতিশীল রয়েছে, আইএমএফ আগামী চার বছরে ১০.১% অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের প্রত্যাশা করছে।
চতুর্থ বৃহত্তম বৈশ্বিক অর্থনীতি হিসেবে ভারতের উত্থান আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক গতিশীলতার গভীর পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটায়। শক্তিশালী অবকাঠামো, জনসংখ্যার শক্তি এবং দ্রুত ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে, ভারত বিশ্ব মঞ্চে তার ভূমিকা পুনর্নির্ধারণ করছে এবং আঞ্চলিক ও বিশ্ব উভয় বাজারে কৌশলগত অর্থনৈতিক প্রভাব অর্জন করছে।