
PM-Kisan Status Check: প্রধানমন্ত্রী কিষাণ স্কিমের ২১তম কিস্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এই স্কিমের আওতায় প্রতি বছর কোটি কোটি কৃষক ৬,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পান। তবে, সরকার সম্প্রতি প্রকাশ করেছে যে লক্ষ লক্ষ কৃষক ভুল তথ্য প্রদান করে এই স্কিমের সুবিধা গ্রহণ করেছেন, যার ফলে তালিকা থেকে ৩৫ লক্ষেরও বেশি নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সরকার এখন তথ্য যাচাইকরণ করছে যাতে নিশ্চিত করা যায় যে কেবলমাত্র প্রকৃত এবং যোগ্য কৃষকরা উপকৃত হতে পারেন। যদি আপনার অ্যাকাউন্টে কিস্তি আসা বন্ধ হয়ে যায় অথবা আপনার সন্দেহ হয় যে আপনার নাম বাদ দেওয়া হতে পারে, তাহলে এই খবরটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্থিতি কীভাবে পরীক্ষা করবেন তা জানুন...
১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ এর পরে যারা জমি কিনেছিলেন, তারাও এই স্কিমে যোগ দিয়েছিলেন, যদিও নিয়ম অনুসারে এটি যোগ্য নয়।
একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে টাকা তোলা শুরু হয়েছিল।
কিছু ক্ষেত্রে, নাবালক শিশুদের নামেও নিবন্ধন করা হয়েছিল।
অনেক লোক ভুলভাবে জমি বা আয়ের নথি আপডেট করেছেন।
সরকার আজ পর্যন্ত অনিয়মগুলিকে ভুল এবং অবৈধ ঘোষণা করেছে, যার ফলে এই কৃষকরা আপাতত অযোগ্য। তবে, সুখবর হল যে আপনি যদি সত্যিই একজন যোগ্য কৃষক হন, তাহলে আপনার নাম আবার তালিকায় যুক্ত হবে। আপনাকে কেবল আপনার তথ্য যাচাই করতে হবে। এর অর্থ হল আপনার নাম বাদ দেওয়া হলেও, আপনি এখনও সুবিধা পেতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ ওয়েবসাইট https://pmkisan.gov.in খুলুন।
'আপনার অবস্থা জানুন' এ যান।
আপনার আধার বা মোবাইল নম্বর লিখুন।
আপনার নাম সক্রিয় আছে নাকি সরানো হয়েছে তা আপনি তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারবেন।
এই তথ্য প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মোবাইল অ্যাপ এবং কিষাণ মিত্র চ্যাটবটের মাধ্যমেও পাওয়া যেতে পারে।
সরকার পুনরায় আবেদন করার বিকল্প প্রদান করেছে। এটি করার জন্য, আপনাকে ওয়েবসাইটের যোগ্য অবস্থা বিভাগে যেতে হবে। ভুল বা অসম্পূর্ণ নথি সংশোধন এবং আপলোড করুন, অথবা আপনি একটি Meeseva বা CSC কেন্দ্রে গিয়েও এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন। কয়েক দিনের মধ্যে আবার যাচাই করা হবে, এবং যোগ্য প্রমাণিত হলে, আপনার কিস্তিটি মুক্তি দেওয়া হবে।
এটি একটি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প, যা ২০১৯ সালে চালু হয়েছিল। প্রতিটি যোগ্য কৃষক এটি পান। এটি প্রতিটি ২০০০ টাকার তিনটি কিস্তিতে আসে। প্রথম কিস্তি এপ্রিল থেকে জুলাই, দ্বিতীয় কিস্তি আগস্ট থেকে নভেম্বর এবং তৃতীয় কিস্তি ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত দেওয়া হয়। এর অর্থ হল প্রতি বছর মোট ৬,০০০ টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।