
দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগ সবথেকে নিরাপদ জায়গা হল ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট (Bank FD) করা। ৫ বছরের কর-সঞ্চয়কারী এই এফডিগুলিতে বিনিয়োগ করতেই পারেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টগুলি অনেক বেশি সুদের হার দিতে থাকে। রইল সবথেকে নরাপদ বিনিয়োগের জায়গাগুলি।
ব্যাঙ্ক আমানতের প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রিটার্ন পাওয়া যায়
যে বিনিয়োগকারীরা কম ঝুঁকি নিতে চান তাদের জন্য এগুলি উপযুক্ত
আংশিক বিনিয়োগ যে কোনও সময় তুলে নিতে পারেন
যে টাকা ব্যালান্স থাকবে সেই অনুযায়ী সুদ পাওয়া যায়
নিরাপদ দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগঃ
এখানে ১৫ বছরের জন্য টাকা রাখতে পারেন। এটি একটি সরকারি স্কিম। এতে সুদের হার অনেক বেশি।
বৈশিষ্ট্যঃ
দীর্ঘ মেয়াদী আর্থিক লক্ষ্যের জন্য উপযুক্ত।
১৫ বছরের স্কিমে বর্ধিত লক-ইন পিরিয়ডের সঙ্গে আসে।
বিনিয়োগ বাজারে সঙ্গে যুক্ত নয়। সেই কারণে নিশ্চিত রিটার্ন দেয়।
মেয়াদপূর্তির পরেও সম্পূর্ণ অর্থ দেওয়ার ও ৫ বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট বাড়ানোর বিকল্প রয়েছে।
এটিও সরকারের অধীনে একটি প্রকল্প।
বৈশিষ্ট্য়
এই স্কিমটি সকল কর্মরত কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পটি ১৯৬১ সালের আইনের অধীনে বছরে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় দেয়।
এটি নিরাপদ ও দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগের সবথেকে বড় হাতিয়ার।
বৈশিষ্ট্য
সোনায় বিনিয়োগ করলে মুদ্রাস্ফীতির কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না।
সোনায় বিনিয়োগ করলে শেয়ার বাজারের পতনেও কোনও সমস্যা হবে না।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সোনার দাম বাড়ে। তাই মূলধন সুরক্ষিত থাকে।
জি-সেক বন্ডগুলি পূর্ববর্তী ৮% সঞ্চয় বন্ডের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। এই বন্ডগুলি ২০১৮ সালে চালু হয়েছিল।
বৈশিষ্ট্য
বিনিয়োগে গ্যারান্টি রয়েছে। মূলধন সুরক্ষিত রাখে।
বছরে ৭.৭৫% রিটার্ন নিশ্চিত
এফডির বিকল্প হলো রিকারিং ডিপোজিট। আরডির অধীনে, ব্যক্তিরা নিয়মিতভাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করেন।
বৈশিষ্ট্য
দীর্ঘমেয়াদী আরডিতে বিনিয়োগ করলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টাকা বাড়ে।
বড় অঙ্কের টাকার প্রয়োজন নেই। ছোট অঙ্কের টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন।
বিনিয়োগ ইকুইটি বাজারের সঙ্গে যুক্ত না হওয়ায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গি রিটার্ন নিশ্চিত থাকে।